হাতি খায় এমন খাবার বাড়ির আঙিনায় লাগাবেন না: বন সংরক্ষক


হাতি খায় এমন কোন পছন্দনীয় খাবার বাড়ির আশপাশ এলাকায় লাগাবেন না। খায়না এমন খাদ্য লাগাবেন। এতে করে হাতি লোকালয়ে এসে আপনাদের ক্ষতি করবেনা বা আসবেনা। বন্যহাতি লোকালয়ে এসে তান্ডব করা বা ক্ষতিগ্রস্ত করা বনবিভাব ও লোকাল মানুষ দায় এড়াতে পারে না। কারন এর পিছনে কোন না কোন কারনে আমরাই দায়ী।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় দক্ষিণ বন বিভাগ রাঙামাটি কাপ্তাই রেঞ্জে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি) সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি মো. ছানা উল্যাহ পাঠওয়ারী বন সংরক্ষক বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল বন ভবন উপরোক্ত বক্তব্যে রাখেন।
তিনি ইআরটিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বিদেশি প্রেসক্রিপশন দিয়ে বন চলেনা। একসময় এটা চলত এখন আর নয়। বন্যপ্রাণী বাঁচলে বন বাঁচবে বন বাঁচলে আমরা বাঁচব।হাতিকে বনের ইঞ্জিনিয়ার বলা হয়ে থাকে। সৃষ্টিকর্তা এক এক প্রাণীকে এক এক মেধা দিয়ে সৃষ্টি করেছে।
দীর্ঘ ১০/১৫বছরেও লোকালয়ে বন্যহাতি দেখা মিলেনি।কিন্তু আমরা বন ধ্বংস করে ওদের খাদ্য বিনষ্ট করার ফলে হাতি এখন লোকালয়ে আসছে। এবং তান্ডব চালাচ্ছে। আসুন আমরা বন্যপ্রাণী রক্ষা করি আমরাও নিরাপদে থাকি। এতে করে সকলে সচেতন হতে হবে।
এসময় সহকারী বন সংরক্ষক আবু কাউসার, কাপ্তাই বড়ইছড়ি স্টেশন ও পরীক্ষা ফাঁড়ী কর্মকর্তা এএসএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, রাজস্থলী রেঞ্জ কর্মকর্তা তুহিনুল হক, রাম পাহাড় বিট কর্মকর্তা মিঠু তালুকদারসহ প্রায় ২০জন ইআরটি সদস্য এসময় উপস্থিত ছিলেন।