১৭৭ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন পাওয়া নিয়ে শঙ্কা


বান্দরবানের থানচি উপজেলার ৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ১৭২ জন শিক্ষকসহ অধিদপ্তরে ৫ কর্মকর্তা কর্মচারীদের ফেব্রুয়ারীর বেতন-ভাতা না হওয়াই আসন্ন ঈদুল ফিতর ও সাংগ্রাই উৎসব উদযাপনের শঙ্খা দেখা দিয়েছে এবং রমজান মাসে পরিবারের সকলকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহিন মাহবুবকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ২৯ জানুয়ারী হঠাৎ রিলিজ করেন। আমাকে ও ফেব্রুয়ারী মাসে বদলীর আদেশ দেন। তাই অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক আর্থিক লেনদেনের ক্ষমতা না থাকায় আমিসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকগনের বেতন বিলে স্বাক্ষর করার সম্ভব হয়নি। এবং একই মাসে আমার বদলীয় আদেশ বাতিল করে স্বপদে রাখলেও আর্থিক লেনদেনের ক্ষমতা এখনও পাইনি। কর্মকর্তাদের হঠাৎ বদলীর কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়।
উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের মোট ৩৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ৬ জন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ৪ জন, সহকারী শিক্ষক ১৬২ জন, এছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে উপজেলা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ১ জন, বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মচারী ৪ জন, মোট ১৭৭ জন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
উপজেলার বলিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ক্যশৈমং মারমা ও ছোট মদক সাখয়উপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রিয়তোজ দাশ জানিয়েছেন, উপজেলার ৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬ জন প্রধান শিক্ষক রয়েছেন। ৩০টি বিদ্যালয়ে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ দুই মাসের বেতন-ভাতা তারা এখনো পাননি। ফলে চলতি রমজান মাসে অনেক শিক্ষক-কর্মচারীর দুর্ভোগ বেড়েছে।
এছাড়া বেতন না হলে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর ও সাংগ্রাই উদসব উদযাপনের সমস্যা হবে। জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: নিজাম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন,
অধিদপ্তরের জেলার কর্মকর্তা মহোদয় সাথে যোগাযোগ করেছি। তিনি আর্থিক ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়ের আমাকে মহাপরিচালক মহোদয় স্বাক্ষরিত আর্থিক ক্ষমতা প্রদান সংক্রান্ত পত্র ইস্যু হয়েছে এবং হাতে পেয়ে যাব।