মেজর সিনহা হত্যায় ৩ স্বাক্ষীর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
টেকনাফে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৩ স্বাক্ষী ও ৪ পুলিশ সদস্যের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার (১২ আগস্ট) সকাল ১১ টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন।
স্বাক্ষীরা হলেন, মো. আয়াছ, মো. নুরুল আমিন ও নাজিম উদ্দিন।
বাদি পক্ষের আইজীবী মো. মোস্তফা সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুরে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকা থেকে আসামি তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এরপর বিকাল ৪টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিন বুধবার রিমান্ড আবেদন শুনানির জন্য দিন ধার্য করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গ, গত ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। একইভাবে ওসি প্রদীপ ও দায়িত্বরত পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯জনকে আসামি করে সিনহার বোন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি কক্সবাজার র্যাব ১৫ তদন্ত করছেন।
ওই মামলায় ওসি প্রদীপসহ ৩জনকে ৭দিন রিমান্ড ও অন্যান্য আসামীদের ২দিন করে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। ৪ আসামীর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে র্যাব।
গত ৭ আগস্ট ওসি প্রদীপসহ ৭ আসামীকে সাময়িক বরখাস্ত করেন পুলিশ সদর দপ্তর। মামলাটি এখনো তদন্তাধিন রয়েছে।
ওসি প্রদীপসহ ৭ আসামি এখনো কারাগারে রয়েছে। একই ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় ৯ আগস্ট সিনহার সহযোগী শিপ্রা দেব নাথ ও ১০ আগস্ট সাহেদুল ইসলাম সিফাত জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান।