অচিরেই শুরু হচ্ছে রাঙামাটি মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম
ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি :
অবশেষে রাঙামাটি মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাঙামাটিতে মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শিগগির চালু করা হবে এই কলেজের কার্যক্রম। তাছাড়া ২০১৪-১৫ শিাবর্ষেই মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তির প্রশাসনিক অনুমোদন মিলেছে। নতুন মেডিক্যাল কলেজের প্রথম ব্যাচে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা-২ শাখার সিনিয়র সহকারি সচিব মাহফুজা আকতার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে (স্মারক নং- ২৬৬,তারিখ-১০-০৪-২০১৪ ইং) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে চলতি শিক্ষাবর্ষেই শিক্ষার্থী ভর্তির যাবতীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা হিসেবেই ভর্তির প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম শুরু হবে রাঙামাটি সদর হাসপাতালের করণিক ইউনিট ভবনে। পরে পর্যায়ক্রমে একাডেমিক ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনার কাজ শুরু হবে।
তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার কোন মেডিক্যাল কলেজ না থাকায় পাহাড়ের শিক্ষার্থীদের উচ্চ পর্যায়ে পড়ালেখা করার তেমন কোন সুযোগ ছিল না। র্দীঘ ১০ বছর ধরে পাহাড়ের মানুষ পার্বত্যাঞ্চলে একটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের দাবীতে মিছিল মিটিং মানববন্ধন করেছে। এ দাবীর ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর পার্বত্য চট্টগ্রামের মেডিকাল কলেজ স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাঙামাটি সফরে এসে এই কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
এর আগে রাঙামাটি সফরে এসে শিামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রাঙামাটি সদরের শুক্কুরছড়ি এলাকায় কৃষি ইনিস্টিটিউটর অদূরে কৃষিজমি ও বসতবাড়ী ছাড়া বেশ কয়েকটি পাহাড় নিয়ে মেডিকেল কলেজ স্থাপন জন্য প্রাথমিকভাবে জায়গা নির্ধারণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী রাঙামাটি পরিদর্শনকালে মেডিকেল কলেজর স্থান নির্ধারণ করে যান।
অভিযোগ উঠে, রাঙামাটিতে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের কাজ শুরু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও পাহাড়ে একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার কারণে কলেজ স্থাপনের কার্যক্রম থমকে যায়। স্থবির হয়ে পরে রাঙামাটিতে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের কার্যক্রম।
অবশেষে দীর্ঘ দিন অপেক্ষার পর বহুল প্রত্যাশিত রাঙামাটি মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নিয়ে সরকার বাস্তবায়ন করলো পাহাড়ের শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন।