অপরণের একদিন পর রাঙামাটির সুবলংয়ে ইউপি সদস্যকে হত্যার অভিযোগ!

Rangamati UP Member Amolendu Chakma (p)

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:
রাঙামাটিতে অপহরণের মাত্র একদিনের মাথায় ইউপি সদস্য অমলেন্দু চাকমাকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অমলেন্দু চাকমা জেলার বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে সুবলংয়ের রুুপবান গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনার পাশাপাশি থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই অপহরণ ঘটনায় ইউপিডিএফকে দায়ী করা হলেও অভিযোগ অস্বীকার করেছে দলটি।

সুবলং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তরুণ জ্যোতি চাকমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, নিহতের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। বর্তমানে উদ্ধার তপরতা চলছে। তিনি বলেন, শনিবার এলাকার অন্তত কয়েকশ’ বাসিন্দা পাশের উপজেলা লংগদু এলাকায় গিয়ে সরাসরি ইউপিডিএফ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিমলেন্দু চাকমার মুক্তির দাবি করেছে। কিন্তু ইউপিডিএফ নেতারা ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে ওই সময় অপহরণকারী হিসেবে চিহ্নিত জ্যোতির্ময় চাকমার মাধ্যমে অমলেন্দু চাকমার লাশ খোঁজ করে এলাকাবাসীর হাতে তুলে দেয়ার আশ্বাস দেন তারা।

বরকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম জানান, ইউপি মেম্বার অমলেন্দু চাকমাকে অপহরণের পর খুন করা হয়েছে খবর পাওয়া গেছে। সুবলং এলাকার রুপবান গ্রামের জ্যোতির্ময় চাকমার নেতৃত্বে অমলেন্দুকে অপহরণ করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। ওসি জানান, জ্যোতির্ময় চাকমা ইউপিডিএফের সঙ্গে জড়িত- পুলিশের কাছে এমন অভিযোগ আছে। তার বিরুদ্ধে আগের দুটি হত্যা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, জ্যোতির্ময় চাকমা এলাকার আতংক। তার বিরুদ্ধে এর আগে ৬ জনকে প্রকাশ্যে খুন করার অভিযোগ রয়েছে।

সুবলং ইউনিয়নিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মধু মিলন চাকমা জানিয়েছেন, অমলেন্দু চাকমা কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিলেন না। অপহরণের একদিন আগে সুবলংয়ে চাঁদা নিয়ে তাকে অপহরণকারী জ্যোতির্ময়ের সঙ্গে কিছুটা তর্ক করেছেন তিনি। সেটি তার জন্য কাল হয়েছে।

এদিকে জ্যোতির্ময় চাকমা ইউপিডিএফের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করে ইউপিডিএফের এক শীর্ষ নেতা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক দল বেড়ে যাওয়ায় কে কার নাম ব্যবহার করে নানা অপরাধ কর্মকান্ড ঘটাচ্ছে তা চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন