অর্থনৈতিক জোন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে: কংজরী চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অতীতে কোন সরকারের আমলে পাহাড়ের কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন রেখে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেছেন, ভাবার সময় এসেছে কোন সরকারের আমলে এ পাহাড়ে এতো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনের খুব কাছাকাছি সময়ে এসে আপনাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন সরকার আপনাদের প্রকৃত বন্ধু। কোন সরকার উন্নয়ন বান্ধব।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গার ব্যাঙমারা এলাকায় ২০৪ নং আলুটিলা মৌজায় হেডম্যান কার্যালয়ের উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
২০৪ নং আলুটিলা মৌজার হেডম্যান ও মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমান, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহাদাত হোসেন টিটো, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. শামছুল হক প্রমূখ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সুবাস চাকমা ও চন্দ্র কিরণ মেম্বার বক্তব্য রাখেন।
খাগড়াছড়িতে সরকারের অর্থনৈতিক জোন প্রকল্পের বিরোধিতার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, কারা বিরোধিতা করছে বা কেন করছে। কোন কিছু বুঝার আগে হ্যা বা না বলার আগে ভাবার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক জোন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এখানকার মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হবে এবং কর্মসংস্থান তৈরি হবে। আর্থিক উন্নতির পথ সুগম হবে।
তিনি বলেন, আপনারা বোঝার আগে ‘না’ বলবেন না যাতে করে বোঝার পরে ‘হ্যা’ বলার আর কোন সুযোগ থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছায় খাগড়াছড়িতে অর্থনৈতিক জোন প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। কিছু স্বার্থনেষী ব্যাক্তির বিরোধিতার কারণে আমরা পিছিয়ে পড়তে চাই না।
তিনি পাহাড়ের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় পাহাড় উন্নয়নের মূল স্রোতে যুক্ত হয়েছে। মূল সড়কে পা বাড়ালেই মনে হয় না আমরা পিছিয়ে পড়া খাগড়াছড়ির অধিবাসী। আমরা সমতলের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চাই। পিছিয়ে পড়তে চাই না। আমরা কোন উপজাতি হিসেবে নয় বাঙ্গালি জাতির মতোই ত্রিপুরা জাতি, মারমা জাতি বা চাকমা জাতি হিসেবে নিজেদের পরিচয় তুলে ধরতে চাই।
এর পরে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী দুর্গম পাহাড়ী জনপদের শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।