অ্যান্টার্কটিকায় হাজার হাজার পেঙ্গুইনের মৃত্যু

fec-image

অ্যান্টার্কটিকায় ১০ হাজারের বেশি পেঙ্গুইনছানার বিপর্যয়কর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। আর এর পেছনেও মূলত দায়ী বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। শীতল সাগরে সাঁতার কাটার জন্য প্রয়োজনীয় জলরোধী পালক গজানোর আগেই বরফের স্তর গলে এগুলো হিমশীতল পানিতে পড়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ছানাগুলো পানিতে ডুবে কিংবা শীতে জমে মারা পড়েছে।

স্যাটেলাইট চিত্রের মাধ্যমে গত বছর অ্যান্টার্কটিকার পশ্চিমে অবস্থিত বেলিংশউসেন সাগরের উপকূলে হাজারো পেঙ্গুইন মারা যাওয়ার ঘটনাটি ধরা পড়ে।
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধির ফলে চলতি শতকের শেষ নাগাদ ৯০ শতাংশেরও বেশি এম্পেরর পেঙ্গুইনের আবাসস্থল বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের (বিএএস) ড. পিটার ফ্রেটওয়েল বলেন, এই প্রজাতির পেঙ্গুইনরা তাদের প্রজননচক্রের জন্য সামুদ্রিক বরফের ওপর নির্ভরশীল। এটি তাদের বাচ্চাদের বিকাশে কাজে লাগে।

কিন্তু এই বরফ যদি যথেষ্ট বিস্তৃত না হয় কিংবা দ্রুত গলে যায়, তবে তারা বিপদে পড়ে যায়। ফ্রেটওয়েল আরো বলেন, ‘এখনো আশা শেষ হয়ে যায়নি। আমরা কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে পারি। আর যদি তাতে ব্যর্থ হই, তাহলে এই প্রতীকে পরিণত ও সুন্দর পাখিগুলোকে বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাব আমরা।

ড. ফ্রেটওয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা কমিউনিকেশনস আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট জার্নালে ২০২২ সালে পেঙ্গুইনের এমন পরিণতির প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন। বিজ্ঞানীরা বেলিংশউসেন সাগরের কাছে পেঙ্গুইনের পাঁচটি নিবাস চিহ্নিত করেছেন। ইইউর সেন্টিনেল-২ স্যাটেলাইট ব্যবহার করে তাঁরা পেঙ্গুইনের সব ধরনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হন। গবেষকদলটি নভেম্বরে দেখতে পায়, পেঙ্গুইনছানাগুলোর শরীরে সাঁতারের জন্য প্রয়োজনীয় পালক গজানোর আগেই সামুদ্রিক বরফের স্তর ভাঙতে শুরু করেছিল। পাঁচটির মধ্যে চারটি পাখির কলোনিতেই প্রজনন ব্যর্থ হয়।

সূত্র : বিবিসি

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন