আন্তর্জাতিক আদালতের রায়কে স্বাগত জানাল হামাস, প্রত্যাখ্যান করল ইসরাইল

fec-image

আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যা বন্ধ করতে ইসরাইলকে যে নির্দেশ দিয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। অন্যদিকে গতকাল (শুক্রবার) হেগের আদালতের ওই রায় প্রত্যাখ্যান করে গাজায় গণহত্যা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল।

আইসিজের আদেশে গণহত্যা ঠেকানোর ব্যবস্থা নিতে ইসরাইলকে নির্দেশ দেয়া হলেও সরাসরি গাজায় অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়নি। আদালতের আদেশের পর কী ব্যবস্থা নেয়া হলো, তা এক মাসের মধ্যে আইসিজেতে জানাতে ইসরাইলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

হামাসের প্রতিক্রিয়া

রায়কে স্বাগত জানিয়ে হামাস বলেছে, দখলদার ইসরাইলকে একঘরে করতে এবং গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অপরাধগুলো তুলে ধরতে আইসিজের রায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। হামাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইসিজের রায়ের ফলে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল। এখন আদালতের এ রায় কার্যকর করতে এগিয়ে আসার জন্য হামাসের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

স্বাগত জানাল দক্ষিণ আফ্রিকাও

আইসিজের রায়ের ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আদালতে এ সংক্রান্ত মামলা দায়েরকারী দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের সিদ্ধান্তগুলি ন্যায়বিচারের জন্য একটি বিজয়। ইসরায়েলের উচিত গণহত্যার প্ররোচনা বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়া এবং গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়া। এ ছাড়া, আইসিজের রায়ের সময় হেগের আদালতে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালোদি প্যান্ডোর। তিনি আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের বলেন, ইসরাইল আদালতের এই রায় শুধুমাত্র একটি উপায়ে বাস্তবায়ন করতে পারে। আর তা হচ্ছে যুদ্ধ বন্ধ করা।

প্রত্যাখ্যান করল ইসরাইল

ওদিকে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার মদদপুষ্ট ইসরাইল যথারীতি আন্তর্জাতিক আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান করেছে। ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তোলা একটি ‘আপত্তিকর’ বিষয়। তিনি বরাবরের মতো দাবি করেন, ইসরাইলের আত্মরক্ষা করার অধিকার রয়েছে সে অধিকার রক্ষা করতে গাজায় সেনা অভিযান আগের মতো বহাল থাকবে। এছাড়া, আইসিজের আদেশ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ইসরাইলকে নৈতিকতা শেখানোর কোনো প্রয়োজন আইসিজের নেই।#

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন