আলীকদমে স্কুলছাত্রী কথিত অপহরণের ৭ মাস পর স্বামীসহ আটক
আলীকদম প্রতিনিধি:
বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলীকদম উপজেলা থেকে কথিত অপহরণের ৭ মাস পর স্কুলছাত্রী সাবিনা আক্তার (১৪) কে স্বামীসহ চট্টগ্রামে থেকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার আলীকদম থানার সেকেন্ড অফিসার আব্দুর রহিম ও এসআই সমিরগুহের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টস থেকে আটক করতে সক্ষম হন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের ছাবের মিয়া পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে স্কুলছাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (১৪) চলতি বছরের ৭ মে সকালে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। সে সময় তার মা মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেন ঘটনার দিন সাবিনা তার মামী মোমেনা সুলতানা বেলী’র সাথে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। ওই সময় সাবিনাকে তার মামী মোমেনা চিকিৎসার জন্য ডেকে নিয়ে অপহরণকারী চক্রের হাতে তুলে দিয়ে বলে দাবী করেন। কথিত অপহরণে সম্পৃক্ততার অভিযোগে পুলিশ বেলীকে আটক করে জেল হাজতে পাঠান।
অভিযানে অংশ নেওয়া এসআই আব্দুর রহিম জানান, মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে পুলিশ সাবিনার কথিত অপহরণের ঘটনাটি উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে এ ঘটনায় চকরিয়ার বাসিন্দা জনৈক শহিদুল ইসলাম মানিকের নাম জানতে পারে। শহিদুল চট্টগ্রামের মুরাদপুর নর্দান পাবলিক কলেজ এন্ড স্কুল কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকুরী করছিল।
গতকাল বুধবার সকালে শহিদুলকে আটক করে তার মোবাইল নাম্বার থেকে সাবিনাকে ফোন দিয়ে অবস্থান শনাক্ত করা হয়। মুঠোফোনে তার অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পুলিশ কলাবাগান থানা এলাকার একটি গার্মেন্টস থেকে সাবিনাকে আটক করে স্বামীসহ সাবিনাকে বান্দরবান পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আলীকদম থানার ওসি মোঃ হোসাইন সাবিনাকে পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সাবিনাকে অপহরণ করা হয়নি। সে স্বামীর সাথে চট্টগ্রাম শহরে ভিন্ন নামে গার্মেন্টে চাকুরী করছিল