ইসরায়েলি বর্বরতায় গাজায় নিহত ২৭ হাজার ছুঁই ছুঁই, আহত ৬৬ হাজার

fec-image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজারে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৬৬ হাজার মানুষ। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে দখলদার বাহিনীর এই বর্বরতা প্রায় চারমাসে পৌঁছেছে।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২৬ হাজার ৯০০ জনে পৌঁছেছে। নির্বিচার এই মারাত্মক ইসরায়েলি আক্রমণ ১১৭তম দিন পার করেছে

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, হামলায় আরও ৬৫ হাজার ৯৪৯ জন আহত হয়েছেন।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় ১৬টি ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে। যার ফলে ১৫০ জন নিহত এবং আরও ৩১৩ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে … এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না বলেও এতে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

মাঝে হামাসের সাথে এক সপ্তাহব্যাপী মানবিক বিরতির পর গত ডিসেম্বরের শুরু থেকে গাজা উপত্যকায় পুনরায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিরতির পর শুরু হওয়া এই অভিযানে গাজায় হামলা আরও তীব্র করে দখলদার সেনারা।

আনাদোলু বলছে, ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইসরায়েল, নিহত, ফিলিস্তিন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন