নুনিয়েজের দুর্ভাগ্যের রেকর্ড, চেলসিকে উড়িয়ে শীর্ষে লিভারপুল

fec-image

একবার, দুইবার নয় এক ম্যাচে চারবার ডারউইন নুনিয়েজ বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন। গোলমিস যে কেউই করতে পারে, কিন্তু চারবার যখন বল গোলবারে লেগে ফিরে আসে, তখন তাকে দুর্ভাগা বলতেই হয়। চারবার বল পোস্টে মেরে লিভারপুলের ফরোয়ার্ড ইতিহাসও গড়েছেন।

২০০৩ সাল থেকে অপটা ফুটবলের পরিসংখ্যান সংরক্ষণ শুরুর পর প্রিমিয়ার লিগে এক ম্যাচে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চারবার বল গোলপোস্টে মেরেছেন নুনিয়েজ। সবমিলিয়ে চলতি মৌসুমে তিনি ৯বার গোলবঞ্চিত হয়েছেন গোলবারের কারণে। দুইয়ে থাকা সতীর্থ ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ডের তুলনায় যা ৬টি বেশি। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত লিগে ১৪ বার বারপোস্টের কারণে হতাশ হয়েছেন নুনিয়েজ।

এরপরেও অবশ্য ঘরের মাঠে চেলসির বিপক্ষে জিততে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি লিভারপুলকে। অ্যানফিল্ডে ব্লুজদের ৪-১ গোলে রীতিমত উড়িয়েই দিয়েছে অলরেডরা। অলরেডদের হয়ে গোল পেয়েছেন ডিয়েগো জটা, কনর ব্র্যাডলি, ডমিনিক সবোস্লাই এবং লুইস দিয়াজ। চেলসির হয়ে একমাত্র গোল ক্রিস্টোফার এনকুনকুর।

প্রথমার্ধেই একহালি গোল দিতে পারত চেলসি। নুনিয়েজ একাই ৭বার শট নিয়েছেন চেলসির গোলমুখে। এরমাঝে গোলপোস্টে লাগার ঘটনাও আছে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে চেলসির বক্সে জটা ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় লিভারপুল। নুনিয়েজ এবারও বল মেরেছে পোস্টে!

২৩ মিনিটে প্রথম গোলটি এসেছে জটার কাছ থেকে। ব্রাডলির পাস থেকে গোল করেন এই পর্তুগজ উইঙ্গার। ২০ বছর বয়সী রাইটব্যাক ব্র্যাডলি ৩৯ মিনিটে নিজেও গোল করেন। লিভারপুলের হয়ে এটা তার প্রথম গোল। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ব্র্যাডলি রীতিমত উড়ছেন সাম্প্রতিক সময়গুলোতে।

৬৫ মিনিটে ব্র্যাডলিরই আরেক ক্রস থেকে হেডে লিভারপুলকে তৃতীয় গোলটি এনে দেন সবোস্লাই। এরপর এনকুনুর গোলে ব্যবধান কমায় চেলসি। কিন্তু ৭৯ মিনিটে লুইস দিয়াজ গোল করায় আর বড় হার সঙ্গী হয় চেলসির।

এই জয়ের পর লিভারপুল ২২ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান সংহত করল। ২১ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ম্যানচেস্টার সিটি। ২২ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে দশম দল চেলসি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন