৬ গোলে রোমাঞ্চকর জয় লিভারপুলের

fec-image

হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচটাকে যেন রূদ্ধশ্বাস জয়ে পরিণত করাটাই লিভারপুলের চিরায়ত অভ্যাস। নয়ত ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাস গড়া ম্যাচে ৩ পয়েন্টের জন্য কেন ৮৭ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ইউর্গেন ক্লপ শিষ্যদের। নিউক্যাসেলের বিপক্ষে ম্যাচে লিভারপুলের এক্সপেক্টেড গোলের হার ছিল ৭.৫৩। যা ১৯৯২ সাল থেকে শুরু হওয়া প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি।

তবে এমন ম্যাচেও লিভারপুল গোল করেছে মোটে ৪টি। হজম করেছে ২টি। ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে অবশ্য তাতে নতুন বছরে উড়ন্ত সূচনা নিশ্চিত করেছে তারা। আফ্রিকান কাপ অব নেশন্সে যাওয়ার আগে এটিই ছিল মোহাম্মদ সালাহর শেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচে জোড়া গোল করে লিভারপুলকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রেখে গেলেন এই মিশরীয় তারকা।

গতবছর বেশ উড়ন্ত ছন্দে ছিল এডি হাউয়ের নিউক্যাসেল। তবে চলতি বছর সেই সুর কেটে গেছে অনেকটাই। সিভেন বোটম্যান, আলেকজান্দার ইসাকদের বিপক্ষে লিভারপুলের শুরুটা ছিল পুরোপুরি আগুন ঝরানো। প্রথমার্ধে ১৮টি শট নিয়েছে লিভারপুল। কিন্তু কাজের কাজটি হয়নি। আলেকজান্ডার আর্নল্ডের শট পোস্টে লেগে ফিরে এসেছে। আর ডারউইন নুনিয়েজকে হতাশ করেছেন নিউক্যাসেলের গোলরক্ষক।

আবার ৩৭ মিনিটে নিউক্যাসলের ড্যান বার্নের হেডে করা গোলও বাতিল করেছে ইসাকের অফসাইডের কারণে। ৬ গোলের ম্যাচটায় প্রথমার্ধ ছিল গোলশুন্য। ২২তম মিনিটে আবার সালাহ মিস করেছেন পেনাল্টিও। তবে দ্বিতীয়ার্ধে হতাশ করেননি তিনি। এদিন লিভারপুলের জার্সিতে রেকর্ড ১৫০তম গোলের দেখাও পেয়েছেন সালাহ।

৪৯ মিনিটে লিভারপুলকে লিড এনে দেন মিশরীয় এই ফরোয়ার্ড। লুইজ দিয়াজের পাস ধরে ডান দিক থেকে সালাহর উদ্দেশ্যে নিঃস্বার্থ পাস বাড়ান নুনিয়েজ। নিখুঁত টোকায় সে বল জালে জড়ান সালাহ। অবশ্য পাঁচ মিনিট পরই সমতায় ফেরে নিউক্যাসেল। এই মৌসুমে দলটির বড় তারকা অ্যান্থনি গর্ডন থ্রু পাস বাড়ান, অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান ইসাক।

৭৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় অল রেডরা। বদলি নামা দিয়োগো জোটার পাস গোল বারের সামনে পেয়ে জালে বল জরান লিভারপুলের লোকাল বয় কার্টিস জোন্স। এর চার মিনিট পরই ব্যবধান ৩-১ করেন কোডি গাকপো। সালাহর ক্রস থেকে আলতো টোকায় ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।

এরপরেই নাটকের পরের অঙ্ক শুরু। ৮১ মিনিটে ওভারল্যাপে উঠে আসা সিভেন বোটমানের গোল আবারও অস্বস্তিতে ফেলে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যদের। কর্নার থেকে আসা বলে হেডে গোল করেন এ ডাচ ডিফেন্ডার। ৩-২ গোলের ব্যবধান বাড়ে ৮৭ মিনিটে। বক্সে ফাউলের শিকার হন জোটা। যদিও সেখান থেকে পাওয়া পেনাল্টি নিয়ে বেশ বিতর্কই চলছে। তবে সেই পেনাল্টি থেকে লিভারপুলের জন্য কাজের কাজটা করে দিয়েছেন সালাহ।

এ জয়ে ২০ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করলো লিভারপুল। সমান ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অ্যাস্টন ভিলা। ১৯ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে অবস্থান ম্যানচেস্টার সিটির। ২০ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে নয় নম্বরে অবস্থান করছে নিউক্যাসেল।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন