ইয়াবা ব্যবসায়ীদেরকে রক্ষা করতে নিরহ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা

 

উখিয়া প্রতিনিধি:

উখিয়ায় ২০ হাজার ইয়াবাসহ যুবলীগ নেতা আটকের ঘটনায় নিরহ ব্যক্তিদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে উখিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রকৃত আসামিদের বাদ দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে নিরহ ৩ যুবককে মামলায় আসামি করা হয়েছে এমনটি অভিযোগ করেছেন তিন যুবক। এঘটনায় ভূক্তভোগী ৩জন শুক্রবার (১৮আগস্ট) শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার পালংখালী বাজারে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ কারর সময় ষড়যন্ত্রের শিকার ৩ যুবক কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।

জানা গেছে গত ১৫ আগস্ট কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কুতুপালং এলাকায় উখিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুল ইসলাম ফয়েজকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও ২টি মোটর বাইকসহ আটক করে।

এসময় আরও ৩ যুবক মোটর বাইক ফেলে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া ৩জনকে ফয়েজের সহযোগী হিসাবে উল্লেখ করে উখিয়া থানায় মামলা রুজু করে থানা পুলিশ। ঘটনায় জব্দকৃত মোটর বাইকের আসল মালিক কারা তা সঠিকভাবে তদন্ত না করে ইয়াবারমত স্পর্শ কাতর মাদকদ্রব্য মামলায় পালংখালী এলাকার মৃত আবুল হাশেমের পুত্র পানের দোকানদার মোহম্মদ হারুন, একই এলাকার আইয়ুবুল ইসলামের পুত্র চিংড়ি ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম ও আঞ্জুমানপাড়া এলাকার সিকদার আলীর পুত্র চিংড়ি ব্যবসায়ী আব্দুল গনি সহ ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। পুলিশ মামলায় তাদেরকে অন্যায়ভাবে আসামি করেছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন তারা।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হারুন, নুরুল ইসলাম ও আব্দুল গনি ১৫ আগস্টের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার পুনরায় তদন্ত দাবি করেছেন। তারা বলেন, মোটর বাইক দুইটি কাদের বা আসল মালিক কারা তা কাগজ পত্র দেখে সঠিক মালিকদের খুঁজে বের করা সম্ভব। সঠিক তদন্ত করলে ঘটনার আসল রহস্য বের হবে। হারুন ও নুরুল ইসলামের মধ্যে মোটর সাইকেল কেনার সামর্থ থাকাতো দুরের কথা তারা মোটর সাইকেল চালাতেও জানেনা। অথচ মোটর সাইকেলের মালিক বানিয়ে জজ মিয়ার ঘটনার মত নতুন নাটকের জন্মদিয়ে ইয়াবা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে আমাদের।

অথচ পুলিশ তদন্ত ছাড়া উচ্চ মহলের রাজনৈতিক নেতাদের ইশারায় আমাদের মত খেটে খাওয়া লোকদের মাদকদ্রব্যের মত রাষ্ট্র ও সমাজবিরুধী মামলায় আসামি করেছে হয়রানিমূলকভাবে। আমরা এই ঘটনার সুস্থ তদন্ত ও শাস্তির দাবি করছি। আমরা কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) উখিয়া ও উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) কে মামলাটি তদন্ত করে সঠিক আসামিদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তারা কোন সময় ইয়াবার মত রাষ্ট্র ও সমাজ বিরুধী কোন কর্মকাণ্ডের সাথে কোন সময় জড়িত ছিলনা বলে সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছেন।

এসময় পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মঞ্জুর ,পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নুরুর হক, ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা সহ এলাকার শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন