উখিয়ায় রোহিঙ্গা সন্দেহে যুবক আটকে এলাকাবাসীর ভিন্নমত: জরিমানায় মুক্তি

fec-image

কক্সবাজারের উখিয়ায় হালনাগাদ ভোটার তালিকায় ছবি তুলতে গিয়ে রোহিঙ্গা সন্দেহে স্থানীয় যুবক আটকের ঘটনায় এলাকাবাসী ভিন্নমত জানিয়েছেন। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে উক্ত ইউনিয়নের মনখালী গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে দেলোয়ার হোসেনকে (২০) আটক করা হয়। শনিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত উক্ত যুবককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মুক্তি দিয়েছেন।

জানা যায়, আটক দেলোয়ার হোসেন (২০) প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র নিয়ে ভোটার হওয়ার জন্য ছবি তুলতে সোনার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে যায় শুক্রবার ৪ অক্টোবর। এ সময় সন্দেহজনক ভাবে তাকে উখিয়ার নির্বাচন অফিসের কর্মচারীরা তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। শনিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উখিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ফখরুল ইসলাম উক্ত যুবককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় পূর্বক মুক্তি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় যুবলীগ নেতা দিল মোহাম্মদ পুতু বলেন, আমাদের জন্মলগ্ন থেকে তাদের জানি। তারা স্থানীয় ভাবে এ গ্রামে বেড়ে ওঠেছে। তার বাবা, মা ভাই ও বোনেরা স্থানীয় ভাবে ভোটার। হয়ত কারও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে সে। স্থানীয় মনখালী গ্রামের শিক্ষিত ও সচেতন ব্যক্তি মোঃ মাহিম বলেন, ছোট বেলা থেকে তাদের জানি। তাদের অন্য ভাইয়েরাও বিভিন্ন স্থানে লেখাপড়া করছে। সরকারি নিয়মানুযায়ী ভোটার হওয়ার মত উপযুক্ত ও প্রয়োজনীয় সব ধরণের কাগজপত্র থাকার পরও এলাকার কিছু লোক পূর্ব শত্রুতার জেরে ষড়যন্ত্র করে তাকে হয়রানি করছে বলে তিনি জানান।

উখিয়া থানায় আটক দেলোয়ার হোসেনের মা আলমাছ খাতুন বলেন, আমরা বাংলাদেশী নাগরিক। আমাদের কাছে এনআইডিসহ সকল কাগজপত্র রয়েছে। আমার এক ছেলে মাস্টার্স এ পড়ালেখা করছে। দেলোয়ার স্থানীয় মনখালী চাকমাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক সমাপনী, শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি ও এসএসসি পাশ করে কলেজে পড়ছে। তিনি তার ছেলেকে ভোটার হওয়ার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে আবেদন করেন।

জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, নিয়মানুযায়ী উক্ত যুবকের নিকটাত্মীয়দের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকায় তাকে প্রত্যায়ন প্রদান করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের লোকজন যদি মনে করে সে ভোটার যোগ্য নয় তাহলে ভোটার করবে না।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ভ্রাম্যমাণ আদালত, রোহিঙ্গা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন