এখানকার এতো মানুষ পাহাড়ে বাসা না বাঁধলে কোথায় থাকবে
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:
এখানকার এত মানুষ পাহাড়ে বাসা না বাঁধলে কোথায় থাকবে। আমরা পাহাড়ে বাড়ি করতে কাউকে বাঁধা দেইনা। শুধু বলি পাহাড় ধ্বসের সম্ভাবনা থাকলে পাহাড় থেকে একটু দুরে সরিয়ে ঘর নির্মাণ করতে।
বান্দরবানে ঘূর্ণিঝর মোরা ও সাগরে নিন্মচাপে প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও পাহাড় ধ্বস নিয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক একথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, পাহাড় ধ্বস বিভিন্ন কারণে হতে পারে। অনেক সময় পাহাড়ের নিচে মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়। অধিক বৃষ্টিপাতে উপরের অংশের মাটি নরম হয়েও ধ্বসে পড়ে। এছাড়াও অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণের ফলেও পাহাড় ধ্বস হয়।
পাহাড় ধ্বসে মাঠি চাপায় প্রত্যেক মৃত ব্যক্তি পরিবারে ২০ হাজার ও আহত পরিবারকে ৫ হাজার করে নগদ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া আশ্রিতদের মাঝে ২লক্ষ টাকার রান্না করা খাদ্য, ১শ ৬ মে: টন জি আর চাল ও নগদ ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
আরও ৫৯ হাজার ৮২ পরিবারকে ১০ কেজি করে মোট ৫৯০.৮২০ মেঃ টন চাল আগামী ২৩ জুন থেকে বিতরণ করা হবে বলেও তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান। এছাড়া ৩ লক্ষ টাকা জি ক্যাশ ও ৫০ মেঃ টন জি আর চাল মজুদ আছে বলে জেলা প্রশাসক জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানায়, বান্দরবানের ৭টি উপজেলা ও ২টি পৌরসভায় আঘাত হানে। এতে নাইক্ষ্যংছড়ি, আলিকদম ও লামা এ ৩টি উপজেলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নিম্নচাপে প্রবল বর্ষণে কয়েকদিনের ব্যবধানে মৌসুমী বায়ু প্রবাহের ফলে ব্যপক বৃষ্টিপাতের ফলে বান্দরবানের সকল নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ও পাহাড় ধ্বস হয়েছে। পাহাড় ধ্বসে মাটি চাপা পড়ে এ পর্যন্ত ৯জনের প্রাণহানি এবং ৮জন আহত হয়েছে।
এছাড়া ৭টি গবাদি পশুরও মৃত্যু হয়েছে মাটি চাপা পড়ে। এসময় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসকারী ২হাজার ৫শ ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে ১২টি আশ্রয় কেন্দ্রে । ইতিমধ্যে ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখনো ৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রয়েছে। তবে আবহাওয়া ভাল থাকলে দু’একদিনের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দিদারে আলম মো. মাকসুদ চৌধুরী, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. আলী আকবরসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।