কক্সবাজারে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে মার্কেটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

fec-image

কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কস্থ জিয়া কমপ্লেক্স (জুনায়েদ মার্কেট) ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটারে তালা মেরে দিয়েছেন মালিক পক্ষ। গত তিন দিন ধরে অন্ধকার পুরো মার্কেট। বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ দোকান। মার্কেট মালিকের এমন অমানবিক আচরণে ক্ষুব্ধ সাধারণ ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটের নীচতলার বিদ্যুতে প্রি-পেইড মিটার তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

যে কারণে ওষুধের দোকান, ফাস্ট ফুড, কুলিং কর্নার, টেইলারিং ও স্টেশনারি শপ, দলিল লিখকের অফিস, স্ট্যাম্প ভেন্ডার ও কম্পিউটার কম্পোজ – ফটোকপির দোকানসহ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের উপক্রম হয়ে গেছে।

বিশেষ করে মধুবনসহ খাদ্যপণ্যের দোকানগুলোতে ফ্রিজে রক্ষিত বিপুল পরিমাণ খাবার নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

তাজ স্টেশনারির মালিক শাহজাহান বলেন, প্রি-পেইড মিটারের রিডিংয়ের বাড়তি বিল নিচ্ছে মালিক পক্ষ। অনেক দিন নির্যাতন সহ্য করে আসছি। এরই মধ্যে গত দিন ধরে বিনা নোটিশে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। ফলে ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

ব্যবসায়ী সুজা আলম বলেন, আমার দোকানে দুধ, দই, কলা, চিড়া ইত্যাদি বিক্রি করি। বিদ্যুতের অভাবে অনেক খাদ্যপণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

দলিল লেখক আবদুল মান্নান সোহেল বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বিভাগের স্থাপিত মূল মিটারের বাইরে বেআইনিভাবে সাব মিটার বসিয়েছে মালিকপক্ষ। এতে সরকারি রেইটের (মূল্য) চেয়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য প্রায় দেড়গুন আদায় করছে। এরপরও বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। দোকান বন্ধ রাখা ছাড়া উপায় নাই।

জিয়া কমপ্লেক্স (জুনায়েদ মার্কেট) ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও স্ট্যাম্প ভেন্ডার জানে আলম বলেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও আদালত পাড়া সংলগ্ন এই মার্কেট তিন দিন যাবত অন্ধকারে। দোকান বন্ধ রাখার ফলে স্ট্যাম্প, কার্টিজ ও কোর্ট ফিসহ অন্যান্য রাজস্ব আদায়কারী ডকুমেন্টস বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, ত্রিশ বছর ধরে ব্যবসা করে যাচ্ছি। দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল কোন কিছু বকেয়া নাই। মালিকের সাথে সুসম্পর্ক ছিল। হঠাৎ অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছে। কোন নোটিশ ছাড়া গত তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। যে কারণে ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির শিকার।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মার্কেট মালিক আবুল হাশেমের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে কল দিলে রিসিভ করেন নি। এরপরে তাকে খুদে বার্তা পাঠানো হয়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, বিদ্যুৎ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন