কক্সবাজার সদর থানায় নেই সিসিটিভি ক্যামেরা: অদৃশ্যে রয়ে যাচ্ছে অনিয়ম-দুর্নীতি

01-copy

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার সদর থানায় সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় ধরা পড়ছেনা দালালদের দৌরাত্মসহ থানায় ঘটা নানা দুর্নীতি-অনিয়ম। অপকর্মের চিত্র দৃশ্যমান না হওয়ায় সুযোগ পাচ্ছে অপরাধিরা। এতে যথাযথ সেবা পাচ্ছেনা মামলা দায়েরসহ নানাভাবে পুলিশের সহযোগিতায় আসা লোকজন। এছাড়া বিঘ্নিত হচ্ছে থানার নিরাপত্তা।

সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় থানায় হয়রানির স্বীকার লোকজন ওসি বা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে গিয়ে প্রমাণ করতে পারছেনা অভিযোগ। কারন দৃশ্যমান হচ্ছেনা থানার ভিতরের-বাহিরের ঘটনা। জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ দপ্তরটি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা জরুরী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ভুক্তভোগীরা।

এদিকে কক্সবাজার সদর থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, সদর থানা স্বল্প সময়ের মধ্যেই সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। তখন কোথায় কি ঘটছে তা চলে আসবে প্রকাশ্যে। আরও পুরোপুরিভাবে দালাল মুক্ত হবে সদর থানা। হয়রানির স্বীকার হবে না পুলিশের সহযোগিতা নিতে আসা লোকজনও।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, কক্সবাজার সদর থানার বাহিরে-ভিতরে অনেক দালাল অবস্থান করে। যাদের হাতে প্রতিনিয়ত হয়রানির স্বীকার হয় সাধারণ লোকজন। শুধু তাই নয়, থানায় পুলিশের সহযোগিতা নিতে এসে পুলিশের হাতেই টাকা দাবীসহ নানাভাবে হয়রানির স্বীকার হচ্ছে লোকজন। বিশেষ করে ডিউটি অফিসে অভিযোগ পত্র জমা দিতে গিয়ে এই সমস্যায় পড়ছে। এছাড়া থানার হাজতে খাবার দেওয়া ও দেখতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও একই সমস্যা হচ্ছে। জোর করে আদায় করা হচ্ছে টাকা।

কিন্তু সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ বা প্রমান না থাকায় অনেকে সঠিকভাবে অভিযোগ করতে পারছেনা ওসি বা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।

এ বিষয়টি স্বীকার করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, থানায় যে সবকিছু ঠিকঠাক মত চলছে তা নয়। অনেকে সাধারণ ডায়েরী বা অভিযোগ পত্র জমা দিতে এসে ডিউটি অফিসার টাকা দাবী করেছে বলে অভিযোগ করে। আবার অনেকে অভিযোগ করে, থানা হাজতে থাকা লোকজনকে ভাত দেওয়া বা দেখা করতে দিয়ে আদায় করা হচ্ছে টাকা। কিছু কিছুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও বেশির ভাগই প্রমান না থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়না। তাই সদর থানার শৃঙ্খলা অক্ষুন্ন রাখতে কম সময়ের মধ্যে স্থাপন করা হবে সিসিটিভি ক্যামেরা।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, সদর থানার আশপাশ থেকে দালাল মুক্ত করন, শৃঙ্খলা রক্ষা এবং যথাযথভাবে পুলিশি সেবা প্রদান আরও জোরদার করতে পুরো থানা সিসিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। সদর থানার ভিতরে-বাহিরে স্থাপন করা হবে ৬ টি সিসিটিভি ক্যামেরা। এসব ক্যামেরার মধ্যে থানার সম্মুখস্থ রাস্তাসহ মূল ফটকে থাকবে ১ টি, থানার নীচ তলায় থাকবে ২ টি, ডিউটি অফিসে থাকবে ১ টি আর থানা হাজত খানায় থাকবে ১ টি। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো থানায় কি হচ্ছে না হচ্ছে তা দেখা যাবে। আর সম্পূর্নভাবে বন্ধ করা যাবে লোকজন হয়রানি আর দালালদের দৌরাত্ম।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন