‘কম্বল’ নিয়ে বাড়ি বাড়ি ছুটছেন ইউএনও বিভীষণ কান্তি দাশ

fec-image

সারাদেশের ন্যায় পাহাড়েও জেঁকে বসেছে শীত। চারদিকে গুডগুডে অন্ধকার আর ঘন কুয়াশা। বৃষ্টির মতো ঝড়ে পড়ছে কুয়াশা। এ অবস্থায় পাহাড়ের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো যেন শীতে জুবুথুবু। পৌষের কনকনে শীতে পাহাড়ের জনজীবন যখন বিপর্যস্থ তখন অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে কম্বল নিয়ে বাড়ি বাড়ি ছুটছেন পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত মাটিরাঙ্গার হাতিয়াড়া, কাজীপাড়া ও নতুনপাড়ার নিম্ন আয়ের অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন তিনি।

দিনব্যাপী দাফতরিক কাজ শেষে ঘন কুয়াশা আর শীতের রাতে স্ত্রী-সন্তানকে ঘরে রেখে প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে শীতার্ত মানুষের দরজায় দাঁড়াচ্ছেন কম্বল নিয়ে। পরম মমতায় উষ্ণতা ছড়িয়ে দিয়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষের মাঝে।

এ সময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজকুমার শীল ও মাটারাঙ্গা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর পাটোয়ারী তাঁর সাথে ছিলেন।

কাজীপাড়ার শ্রমজীবি আরশাদ আলী বলেন, প্রচন্ড শীতে যখন আমরা অনেকটা অসহায় তখন আমার কুঁড়েঘরে আচমকা কম্বল নিয়ে হাজির হলেন ইউএনও স্যার। আমার হাতে তুলে দেন কম্বল। কথাগুলো বলতে বলতেই আবেগাপ্লুত হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

হাতিয়াপাড়ার রিক্সা চালক সেলিম মিয়া বলেন, সারাদিন রিক্সা চালিয়ে কোন মতে সংসার চালাই। যেখানে নুন আনতে পানতা পুড়ায় সেখানে গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য কই। শীত নিবারনে স্যার (উপজেলা নির্বাহী অফিসার) কম্বল দিয়েছেন। যা কনকনে শীতের রাতের এ কম্বল আমাদের কষ্ট নিবারন করবে।

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বরাদ্দ পাওয়া কম্বলগুলো প্রকৃত অসহায় ও দু:স্থ শীতার্তদের হাতে পৌছে দিতেই শীতে রাতে শীতার্তদের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন জানিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, পাহাড়ি জনপদের শীতার্ত মানুষের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ‘কম্বল’ পৌছে দিতে পেরেছি এটাই আমার স্বার্থকতা।

শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অব্যাহত রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারি বরাদ্ধ শেষ হলে স্থানীয়ভাবে কম্বল সংগ্রহ করে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন