কাউখালীতে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ‘জলকেলি’ উৎসব

Kawkhali Water  Festival  Pic-03-17.04
কাউখালী প্রতিনিধি:
‘আপন সংস্কৃতিই হউক সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক হোক আরো সুদৃঢ়’ এমন শ্লোগানকে সামনে রেখে কাউখালীতে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহি উৎসব সাংগ্রাই উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল দশটায় উপজেলার কচুখালী এলাকায় অনুষ্ঠিত জলকেলি উৎসব যেন পাহাড়ি বাঙালীর মিলন মেলায় পরিণত হয়।

পিতলের ঘণ্টা বাজিয়ে সাংগ্রাই উৎসব উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা।

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সাংগ্রাই উৎসব শুধু মারমা সম্প্রদায়ের নয় এ উৎসব এ এলাকায় বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের উৎসবে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের অনুষ্ঠান এ এলাকায় বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীকে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করে তুলবে। এখন সময় এসেছে তা সকলের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার।

পুরাতন বছরের সকল গ্লানি মুছে ফেলে নতুন বছরের শুভ কামনার মধ্য দিয়ে বৃহত্তম এ আয়োজন করা হয় প্রতিবছর। পার্বত্য জনপদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠির নিজ নিজ ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে প্রতি বছরের ন্যায় কাউখালীর কচুখালী যুব সমাজের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় এ মনোরম অনুষ্ঠানের।

ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থুইমং মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুই প্রু চৌধুরী, কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস,এম,চৌধুরী, কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আখতার, কলমপতি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যজাই মারমা, বেতবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সামশুদোহা চৌধুরী, কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য উষাহলা রোয়াজা, সাংগ্রাই উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব পাইসুইচিং মারমা, শিক্ষক চিংকিউ চৌধুরী, ও উক্যজাই কার্বারী প্রমুখ।

এ উৎসবে কয়েকজাহার উপজাতি নারী পুরুষ ছাড়াও অসংখ্য বাঙালী উপস্থিত থেকে এ উৎসবকে প্রাণবন্ত করে তোলেন।

Kawkhali Water  Festival  Pic-02-17.04

পরে প্রধান অথিতি ফিতা কেটে জলকেলি উৎসবের উদ্বোধন করেন। এর পর প্রধান অথিতিসহ অন্যান্যরা মারমা যুবক যুবতিদের গায়ে পানি ছিটিয়ে জলকেলির শুভ সূচনা করেন। জলকেলির পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মারমা ও বাঙালী শিল্পিদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন