কাপ্তাইয়ের শিলছড়িতে মধ্যযুগীয় কায়দায় একটি পরিবাররের ওপর হামলা বসতভিটা ভাঙচুর

Hamla 

কাপ্তাই প্রতিনিধি:

কাপ্তাই শিলছড়ি হাজীর টেক এলাকায় একটি পরিবারকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মধ্যযুগের কায়দায় হামলা, মামলা, লুটপাট ও বসতভিটা ভাঙচুর করায় খোলা আকাশের নিচে বৃষ্টিতে ভিজে আতঙ্কের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করছে আহত পরিবারের স্কুল পড়ুয়া চার ভাই বোন।

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আবদুল করিম দীর্ঘ ২৫/৩০ বছর যাবত হাজীর টেক এলাকায় নুর বেগম মিতা নামের এক ইউপি সদস্যর বসতভিটায় পাহারাদার হিসাবে বসবাস করছে। উক্ত বসভিটাকে কেন্দ্র করে পাশ্ববর্তী কিছু দুস্কৃতিকারী বহুদিন যাবত বসবাসকারীরেকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসছে। তেমনি বসবাসকারী করিম নিজ বসতভিটায় কাজ করার সময় আবু তাহের সুমন,ইব্রাহীম,জোহরা খাতুন ও আবুল হাশেম এরা পরিবারের৬/৭জন মিলে করিম ও তাঁর স্ত্রী আমেনা বেগমকে দেশীয় তৈরি লাটি,বাঁশসহ বিভিন্ন সারঞ্জম দিয়ে এলোপাথারি ভাবে মধ্যযুগের কায়দায় মাটিতে ফেলে হামলা করে এবং বসভিটা ভাংচুর করে ঘরের চাল উপড়ে ফেলে দেয় এবং লুটপাট করে।

হামলার পর আহত করিম ও তাঁর স্ত্রী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে হামলা কারীরা উল্টো মামলা দায়ের করে করিমকে হাসপাতাল হতে কাপ্তাই থানা আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে । এ সময় আহত আমেনা বেগম চিকিৎসা নেওয়ার পর হতে নিখোঁজ রয়েছে। আহতের ৪ শিশু সন্তান ভাঙা ভিটায় রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে বর্তমানে মানবতার জীবন যাপন করছে। বাবা জেলে মা নিখোঁজ থাকায় কাদেরিয়া স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, আমার মা বাবাকে হামলা, মামলা করে ঘর ছাড়া করায় আমরা চার ভাই/বোনের স্কুলে লেখা পড়া বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টিতে সকল বই খাতা ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। ঘরে কোন খাবার নেই পার্শ্ববর্তী লোকেরা একের পর এক প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

বর্তমানে ভয় ও আতংকের মধ্যে এ চার ভাইবোন ভাঙা ঘরের মধ্যে না খেয়ে দেয়ে কোন রকম মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে ( মঙ্গলবার) প্রতিনিধি সরজমিনে পরিদর্শনে গেলে উপরোক্ত ঘটনা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলতে থাকে।

করিমের লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কাপ্তাই থানায় একাধিক অভিযোগ থাকলেও তাঁদের বিরুদ্ধে অদ্যাবধী কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হলে তাদের অভিযোগ থানা গ্রহণ করেনি বলে জানানো হয়। এদিকে বসতভিটার মালিক দাবিদার নুর বেগম মিতা তাঁর পাহারাদারদের উপর হামলা এবং ভাংচুর লুটপাট করার অভিযোগে জোহরা খাতুনকে আসামি করে আরো ৬/৭জনের বিরুদ্ধে রাঙ্গামটি জেলা জজকোর্টে একটি পটিশন মামলা করেন যার নং১০৩/০১৪ইং।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন