কাপ্তাইয়ে চোরের উৎপাত বাড়ছে

churi

কাপ্তাই প্রতিনিধি :

কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্নস্থানে চলছে চুরির প্রতিযোগিতা। হঠাৎ করে চুরির হিড়িক পরে যাওয়ায় জনমনে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

বিশেষ করে কাপ্তাইয়ের বারঘোনা, কেপিএম, শিলছড়ি, প্রজেক্ট এলাকা, জেটিঘাট, নতুনবাজার, শিল্প এলাকা, কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয় ও জাকির হোসেন সমিল এলাকাসহ বাসা-বাড়ি, দোকান ও প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হারে চুরি বৃদ্বি পেয়েছে।

বাসা বাড়ির পাশাপশি চোরদের লক্ষবস্তু এবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পিতল খচিত নামফলক। গত জুন মাসে কাপ্তাই বিদ্যুৎ ভবনের খোদাই করা পিতলের অক্ষর খচিত নামফলকটি চুরি হয়ে যায়। বারঘোনা এলাকায় আনোয়ার হোসেনে এর বাড়িসহ আরো কয়েটি বাসায় চুরি কওে চোররা নগদ অর্থ, স্বর্ণ ও মোবাইল নিয়ে যায়। চুরি যাওয়ার ঘটনায় আনোয়ার হোসেন কাপ্তাই থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

জাকির হোসেন সমিল এলাকার চিত্রও একই রকম। এ এলাকার শাহাজান মিস্ত্রীর দোকান থেকে মোবাইলসহ নগদ অর্থ চুরি করে চোরেরা। এছাড়া কয়েকমাস আগে কাপ্তাই নতুনবাজার এলাকায় দরবার টেলিকম দোকান হতে মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও নগদ ৩৫ হাজার টাকাসহ কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল চুরি যায়। কিন্তু এ পর্যন্ত কোন চোর ধরা না পড়ায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

দীর্ঘদিন ধরে চোররা যে সঙ্গবদ্ধ হয়ে এলাকায় এ সব ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে দাবি করেন, বাজারের বেলায়েত সওদাগার। তিনি বলেন, পবিত্র রমযান মাসে তারাবির নামাজ পড়তে গেলে আমার মোবাইল ও নগদ অর্থ চুরি করে নিয়ে যায়। ২৮জুন রাতে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয় অফিসের দরজা ভেঙে কম্পিউটারের সিপিইউ নিয়ে যায়। কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাদল দে কাপ্তাই থানায় একটি সাধারণ ডায়রি দায়ের করলেও কোন সুরহা মিলেনি চুরি যাওয়া মালামালের। এভাবে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কাউকে সনাক্ত করা যায়নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন