কাপ্তাইয়ে সুমিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে: পুলিশ সুপার
পরিকল্পিতভাবে সুমিকে হত্যা করে মুখমন্ডল জ্বালিয়ে দিয়ে স্কুলের টয়লেটর মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। প্রেমঘটিত হত্যার বলি হয়েছে হাসিনা আক্তার সুমি (২৫)। কাপ্তাই বিএফআইডিসি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেট হতে মহিলার মৃতদেহ উদ্বারের পরিচয় মিলল।
রবিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টায় রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদদা্ছছর হোসেন হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তিনি সাংবাদিকদের জানান, এটা পরিকল্পিত হত্যা। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দুই জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত ও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান।
গতকাল শনিবার (১২ মার্চ) সাড়ে চারটায় বিএফআইডিসি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত টয়লেট হতে হাসিনা আক্তার সুমির (২৫) লাশ উদ্বার করেছে কাপ্তাই থানা পুলিশ। কাপ্তাই রাইখালী ইউনিয়ন, রাইখালী কাজী পাড়ার মৃত আব্দুর রশীদের মেয়ে হাসিনা আক্তার সুমি বসবাস করে। নিহত সুমির স্বামী ইমাম উদ্দিন( হাতির মাহুত) টেকনাফ আলীকদমে বসবাস করে।
গত তিন মাস আগে স্বামী-স্ত্রীর দু’জনের মধ্যে তালাক হয়েছে। নিহত সুমির মা আমেনা বেগম সংবাদ পেয়ে কাপ্তাই থানায় রবিবার (১৩ মার্চ) একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। তিনি জানান, আমার মেয়ের সাথে জামাই ইমাম উদ্দিনের তালাক হয়েছে তিন মাস আগে। তালাক হলেও তাদের মধ্যে সম্পর্ক টাকা লেনদেন ছিল। এবং তিনমাস পর আবার তাদের মধ্যে ইসলামিক রীতি অনুযায়ী বিবাহ হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত ঢাকাইয়া কলোনিতে বসবাসরত সুমির বান্ধবী রুমি আমার মেয়ের জামাইকে প্রেমেফেলে বিয়ে করার জন্য মেয়েকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করে।
তিনি আরও অভিযোগ করে জানান, কয়েকদিন আগেও নাকি আমার মেয়েকে দুনিয়া থেকে সরিয়া দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে। পরিকল্পিত হত্যার তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদদা্ছছর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ মাহামুদা বেগম কাপ্তাই সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব।
কাপ্তাই থানার ওসি জসিম উদ্দীন জানান নিহতর মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই জনকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি প্রেরণ করা হয়েছে।