কাপ্তাই ইউপিতে শেষ হাসি কে হাসবে

Charmen-candet (1)

কাপ্তাই প্রতিনিধি:

বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ জেলা রাঙ্গামাটি ১০টি উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়েছে। আর সকল উপজেলার মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা কাপ্তাই। এ উপজেলায় রয়েছে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী পেপার মিলস, কারিগরি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, শহীদ মোয়াজ্জম নৌ ঘাঁটি, বৃহৎ বৌদ্ব মন্দির, বৃহৎ বিএফ আইডিসি করাত কলসহ সরকারি আধাসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। আর এ কারণেই দেশব্যাপী পরিচিতি এই উপজেলাটি।

আগামী ৪জুন এখানে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়াকে কেন্দ্র করে ৪টি ইউপিতে চলছে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা। ঘরে, ঘরে রাত দিন গণসংযোগ করে চলছে। অনেক প্রার্থীরা নিজ ভোট প্রয়োগ করতে পাড়বে কিনা তা নিয়ে সংশন রয়েয়ে বলে প্রার্থীরা অভিযোগ করেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ হতে বলা হয়েছে পার্বত্য জেলার প্রতিটি ইউপিতে অবাদ সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেওয়া হবে। কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার চেষ্ঠা করা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে।

কাপ্তাই উপজেলার ৫টি ইউপির মধ্যে একটি ইউপি নির্বাচন সীমানা জটিলতা সংক্রান্ত কারণে স্থগিত রয়েছে। আর ৪টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রার্থীরা তাদের হিসাব নিকাশ কষে নিচ্ছে কি ভাবে নির্বাচিত হওয়া যাবে। আবার অভিযোগ পাওয়া যায় অনেক প্রার্থীর পোস্টার ব্যানার ছিড়ে দিচ্ছে।

এবার কাপ্তাই উপজেলার ৪টি ইউপিতে প্রার্থী হল রাইখালী মংক্য মারমা প্রতীক (নৌকা), জাহাঙ্গীর তালুকদার (ধানের শীষ) স্বতন্ত্র প্রাথী সাইহ্লামং মারমা, চিংমরম ইউপিতে প্রার্থী তিন জনের মধ্যে থুইচাইপ্রু মারমা (নৌকা), উথাইমং মারমা (ধানের শীর্ষ) স্বতন্ত্র প্রার্থী খ্যাইস্যা অং মারমা (বর্তমান চেয়াারম্যান) ওয়াগ্গা ইউপিতে ৫জন চেয়ারাম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে চিরঞ্জিত তংচঙ্গ্যা (নৌকা), জাফর আহমদ স্বপন (ধানের শীষ), বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আপাই মারমা, সুনিল তংচঙ্গ্যা (স্বতন্ত্র) এবং বর্তমান চেয়াারম্যান অহ্লাচিং মারমা (স্বতন্ত্র) এবং সব চেয়ে অতিগুরুত্ব পূর্ণ এলাকা হল ৪নং কাপ্তাই ইউপি এর মধ্যে প্রার্থী হল শুধু সরকারি দল ও বিরোধী দল প্রকৌশলী আবদুল লতিফ (বর্তমান চেয়ারম্যান) নৌকা প্রতিক আর বিরোধী দলের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন (ধানের শীষ) প্রতিক নিয়ে দু’জনের মধ্যে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। উপজেলার মধ্যে সকলেই তাকিয়ে আছে শুধুমাত্র কাপ্তাই ৪নং ইউপির দিকে কে বিজয়ী হয়।

এদিকে কাপ্তাই বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ বলেন, আমাকে দলের পক্ষে হতে প্রতীক দেওয়া হয়েছে নৌকা। আমি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যেমে নির্বাচন করতে চাই। আমি ইউপিতে থাকাকালীন কাপ্তাইয়ের প্রতিটি ওয়ার্ডে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। এমন কোন স্থান নেই যেখানে উন্নয়ন হয়নি। স্কুল, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সিড়ি নির্মাণ, চলাচলের রাস্থা, কালর্ভাট, ব্রীজ, উন্নয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আল-আমিন দাখিল মাদ্রাসার কেন্দ্র করা হয়েছে। কাপ্তাই ইউপিতে ৮০ শতভাগ বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিন হাজার বেকার যুবক যুবতীকে বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ তথ্যকেন্দ্র হিসাবে সকলকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। দলমল নির্বিশেষে সকলের কাজ করে চলছি এবং সমাজকে মাদকমুক্ত ও সন্ত্রাস মুক্ত রেখেছি। এদিকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন (ধানের শীর্ষ) নিজে ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। তিনি ইস্তেহারে বলেন ২০০৩ থেকে ২০১১সাল দায়িত্ব থাকা কালিন নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০৮সালে কর্মদক্ষাতার উপর জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি এবং জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত হয়েছি। এলাকার জীবন জীবিকার জন্য ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। আগামীতে নির্বাচিত হলে জনগনের প্রাণের দাবি কাপ্তাইকে মৌজায় বাস্তবায়ন করা হবে। বেকার দুর করা হবে, রাস্তাঘাট, মসজিদ, মন্দির ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন করা হবে।

আগামী ৪ জুন নির্বাচিত করা হলে সুষম, বন্টন, ন্যায় বিচার ও অত্র ইউনিয়নকে দূনীর্র্তি মুক্ত করা হবে। এবং আইশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করা হবে বলে উল্লেখ করেন। তবে সকলে তাকিয়ে আছে শেষ হাসি কে হাসবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন