খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক হিসেবে। তবে তার আর্থিক ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও প্রায় দেড় বছর ধরে হর্টিকালচার সেন্টারে অফিস পরিচালনা ব্যয় ও চারা কলম উৎপাদনসহ বিভিন্ন খাতে লাখ লাখ টাকা খরচ করে চলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর্থিক ক্ষমতা ছাড়া বিপুল অর্থ খরচ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠলেও কিশোর কুমার নিজের পক্ষে ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
প্রাপ্ত সূত্রে জানা গেছে, কিশোর কুমার মজুমদার খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত খাগড়াছড়ি হর্টিকালচার সেন্টারে টানা তিন বছর উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। ২০২২ সালের ২২ আগস্ট কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. জসিম উদ্দিনের স্বাক্ষরের তাকে খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়। কিন্তু হর্টিকালচার সেন্টারে নতুন কর্মকর্তা পদায়ন না করায় কুমার মজুমদারকে কৃষি সম্প্রসারণে উপ-পরিচালক হিসেবে যোগদান অনুমোদনের পাশাপাশি হর্টিকালচার সেন্টারেও অতিরিক্ত উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসার ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, কিশোর কুমার মজুমদার খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক হিসেবে ২৫ আগস্ট ২০২২ ইং দাখিলকৃত যোগদানপত্র খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অনুমোদন করেছেন এবং নতুন কর্মকর্তা পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত কিশোর কুমার মজুমদারকে হর্টিকালচার সেন্টারে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে উপ-পরিচালক-এর দায়িত্ব পালন করার প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সে হিসেবে কিশোর কুমার মজুমদার ৪ সেপ্টেম্বর-২০২২ দায়িত্ব অর্পণ ও নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেন। কিন্তু অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক হিসেবে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক ক্ষমতা ছাড়া দেড় বছর ধরে হর্টিকালচার সেন্টারে অফিস পরিচালনা ব্যয় ও চারা কলম উৎপাদনসহ বিভিন্ন খাতে লাখ লাখ টাকা খরচ করে চলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি হর্টিকালচার সেন্টারে নতুন উপ-পরিচালক পদায়ন করা হয়। কিন্তু নবাগত কর্মকর্তা এখনো দায়িত্ব গ্রহণ করেননি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কিশোর কুমার মজুমদার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, সমপর্যায়ের কর্মকর্তারা অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকলে আর্থিক ক্ষমতা নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
তবে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা বলেন, চেয়ারম্যান অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের প্রস্তাব অনুমোদন দিলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক ক্ষমতা নিয়ে আসার দায়িত্ব ঐ কর্মকর্তার।
কিশোর কুমার মজুমদার আর্থিক ক্ষমতা ছাড়া কীভাবে সরকারের লাখ লাখ টাকার খরচ করলো তদন্তের দাবি সচেতন মহলের।