খাগড়াছড়িতে জাবারাং কল্যাণ সমিতির ২১তম বর্ষপূর্তি উৎসব পালিত

SAMSUNG CAMERA PICTURES

নিজস্ব প্রতিনিধি:

দিনব্যাপী নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে খাগড়াছড়িতে পালিত হয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাবারাং কল্যাণ সমিতির ২১ তম বর্ষপূর্তি উৎসব। শুক্রবার সকালে জেলা সদরের খাগড়াপুর এলাকায় জাবারাং কল্যাণ সমিতির রিসোর্স সেন্টারে বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেক কাটা, আলোচনা সভা, কর্মী সভা ও বার্ষিক সাধারণ সভা করা হয়।

জাবারাং কল্যাণ সমিতির কর্মসূচী সমন্বয়ক বিনোদন ত্রিপুরার সঞ্চালনায় ও জাবারাং কল্যাণ সমিতির সভাপতি চন্দ্র কিশোর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত) অমল বিকাশ চাকমা। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাবারাং কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা প্রফেসর (অব) মধুমঙ্গল চাকমা, সহ-সভাপতি শেফালিকা ত্রিপুরা প্রমূখ। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য ও সংস্থাটির ইতিবৃত্ত পাঠ করেন জাবারাং কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও নিবার্হী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা।

সংস্থাটি পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য মানসম্মত শিক্ষা, সুশাসন, স্থায়িত্বশীল জীবিকা, স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশনসহ বেশ কিছু কৌশলগত পরিধি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

সংস্থাটির নিবার্হী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা স্বাগত বক্তব্যে বলেন, সুশিক্ষার মাধ্যমে একটি শিক্ষিত সমাজ গড়ে তোলা হবে যেখানে দারিদ্র্য ও ভেদাভেদ থাকবেনা। এমন একটি সমাজ বিনিমার্ণের রূপকল্প নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটির প্রত্যেক কর্মী। যে সমাজের প্রতিটি নাগরিকই থাকবে নিরাপদ ও ক্ষমতায়িত।

প্রধান অতিথি বলেন, দেশে অসংখ্য এনজিও সংস্থা আছে। কিন্তু অধিকাংশ এনজিও তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনা। জাবারাং কল্যাণ সমিতি প্রতিষ্ঠার ২১ বছর পার করেছে। আমি আশা রাখি আরো দীর্ঘ পথ পাড়ি জমাবে এই সংস্থাটি। সংস্থাটির কার্য পরিকল্পনা ও কৌশল সমূহ এ অঞ্চলের তথা সমগ্র দেশবাসীর উন্নয়নে কাজ করবে এমনটা প্রত্যাশা করেন তিনি।

আলোচনা সভার আগে প্রধান অতিথি অমল বিকাশ চাকমা অন্যান্য অতিথিদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রথম পর্বের অধিবেশনে সংস্থাটির কর্মী দিয়ে নিয়ে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ২৮ জানুয়ারি পথচলা শুরু করে সংগঠনটি। স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ইস্যু’র পাশাপাশি জাতীয় অনেক কর্মসূচীতে অবদান রাখছে সংস্থাটির কর্মীরা। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ত্রিপুরা আদিবাসীর নিজস্ব মাতৃভাষায় পাঠক্রম নিয়ে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংগঠনটি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন