খাগড়াছড়িতে পালিত হলো পিসিপি’র ঢিলেঢালা অবরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
১৩ মামলার আসামী ইউপিডিএফ এর বিপুল চাকমা সহ তিন নেতার মুক্তির দাবীতে খাগড়াছড়িতে সকাল-সন্ধ্য সড়ক অবরোধ কর্মসূচী ঢিলেঢালাভাবে পালন করেছে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ সমর্থীত ‘পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ’।
অবরোধের কারনে সকাল থেকে দুর পাল্লার কোন যানবাহন চলাচল সকালে হালকা থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে শহরে বেটারী চালিত অটো চলাচল করেছে স্বাভাবিকভাবেই। অবরোধের সমর্থনে তেমন কোন পিকেটিং দেখা যায়নি পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নেতা কর্মীদের। তবে আলুটিলা এলাকায় কয়েকটি গাড়ির উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙে দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় থাকায় সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য ভোগান্তির কারন হয়ে দাঁড়িয়েছিল এ অবরোধ কর্মসূচী। আর লক্ষীছড়ির মংহ্লা পাড়ায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা আবুল বাশার নামের এক বাঙ্গালিকে পিটিয়ে জখম করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তার পিতার নাম ইউসুফ আলি। তার বাড়ি স্থানীয় ময়ূর খীল গ্রামে এবং সে মটরসাইকেল ভাড়া চালিয়ে নিজের সংসার চালায় বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর সকাল ৮টার দিকে পুলিশ পানছড়ি উপজেলার লোগাং সড়কের মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি মাইক্রেবাস তল্লাসী করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক বিপুল চাকমাকে আটক করে পুলিশ। তার মুক্তির দাবীতে বুধবার বিকালে আহুত সাংবাদিক সম্মেলন শেষে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বিনয়ন চাকমা ও সাংগঠনিক সম্পাদক অনিল চাকমাকে আটক করলে রাতেই প্রেস বিজ্ঞপ্তি খাগড়াছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক দেয় সংগঠনটি।
খাগড়াছড়ি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: রইছ উদ্দিন জানান, বিপুল চাকমার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর খাগড়াছড়িতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাগামী গাড়ী বহরে হামলা, বিস্ফোরক দ্রব্য, পুলিশের গাড়ী ভাংচুর ও বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ ১৩ মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। তম্মধ্যে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ১১টি ও পানছড়ি থানায় দুটি। বিপুল চাকমাকে পুলিশ দীর্ঘ দির ধরে খুঁজছিল। অপর দিকে বুধবার বিকালে আটক বিনয়ন চাকমা ও অনিল চাকমার বিরুদ্ধেও বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।