বই উৎসব নিয়ে শঙ্কা

খাগড়াছড়িতে প্রাথমিকের বই এসেছে ৩৮ শতাংশ, আসেনি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির

fec-image

পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে এবার প্রাথমিকে সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রাথমিকে বই এসেছে গড়ে মাত্র ৩৮ শতাংশ। আর মাত্র কয়েক দিন পর আসছে ১ লা জানুয়ারি বই উৎস। প্রথম, দ্বিতীয় শ্রেণি ও ইংলিশ মিডিয়া স্কুলের কোন বই আসেনি। তবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সকল বই এসেছে। ফলে প্রতিবছরের মতো এবার কোমলমতি শিশুদের সকল হাতে বই পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

খাগড়াছড়িতে ৫৯৩টি সরকারিসহ মোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৭৯টি। ২০২৩ সালে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি সম্ভাব্য বইয়ের চাহিদা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৬৯২টি। তার মধ্যে বই এসেছে মাত্র ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬৫৯টি। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কোন বই আসেনি। তবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সকল বই এসছে।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের স্টোর কিপার মো. নুরুল ইসলাম লালু জানান, প্রাক-প্রাথমিকে বইয়ের সম্ভাব্য চাহিদা ২১ হাজার ৭৫৩টি, প্রথম শ্রেণিতে ৫৮ হাজার ২৬০টি ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৫৪ হাজার ৬৭৫টি। তার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিরে সবকটি বই এসেছে। অপর দিকে তৃতীয় শ্রেণিতে ১ লাখ ৮ হাজার ৭৯২টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে বই এসেছে ৬২ হাজার ৭১২টি অর্থাৎ ৫৭ শতাংশ, চতুর্থ শ্রেণিতে ১ লাখ ১১ হাজার ৩১২টি বিপরীতে বই এসেছে ৪৬ হাজার ৫৪৩টি বই অর্থাৎ ৪২ শতাংশ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ১ লাখ ২ হাজার নয়শটির বিপরীতে এসেছে ৪৬ হাজার ৫৪৩টি বই অর্থাৎ ৪২ শতাংশ। তার মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় শ্রেণি ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের কোন পাঠ্যপুস্তক এখনো এসে পৌঁছেনি।

খাগড়াছড়ি বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের অধ্যক্ষ রিন্টু বিকাশ চাকমা জানান, যথা সময়ে চাহিদা দেওয়া হলেও এখনো একটি বইও পায়নি।

এমন পরিস্থিতে নাগরিক সমাজ উদ্বেগ বলে জানান লেখক ও গবেষক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা। তিনি বলেন, প্রতি বছর ১ লা জানুয়ারি কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের হাতে উৎসব মুখর পরিবেশে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়া হতো। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম হলে শিশু শিক্ষার্থীদের মন ভেঙ্গে যাবে।

তকে জেলা প্রাথামিক শিক্ষা অফিসার মো. সাহাব উদ্দিন বিভাগ ১ লা জানুয়ারিতে শতভাগ বই পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী প্রকাশ করে বলেন, ইতিমধ্যে (২৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ৩৮ ভাগ বই স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী যে কয়েক দিন সময় রয়েছে, তার মধ্যে সকল পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে যাবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন