খাগড়াছড়িতে যোগাযোগ মন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষিত: সওজ‘র সহকারী প্রকৌশলীর কর্মস্থল ত্যাগ

index

নিজস্ব প্রতিবেদক, পার্বত্যনিউজ :

যোগাযোগ মন্ত্রীর নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শণ ও বাতিল করা ছুটির আদেশ উপেক্ষা করে কোরবানীর ঈদ করতে খাগড়াছড়ি ত্যাগ করলেন “খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) সহকারী প্রকৌশলী মো: আব্দুল মালেক। জানা যায়, সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতিশীলতা-স্বচ্ছতা আনতে এবং কোরবানী ঈদ ও দূর্গাপুজায় ঘরমুখো মানুষের নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে সওজ’র সকল কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারী করা হয় যোগাযোগ মন্ত্রনালয় থেকে। এ আদেশে দায়িত্বরত সকল কর্মকর্তাদের সড়ক যোগাযোগে সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি ও সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেওয়া হয়।

খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো: আব্দুল মালেক গুরুত্বপূর্ণ এ পদ ছাড়াও এ জেলার ব্যস্ততম দুটি সড়ক “দীঘিনালা-মারিশ্যা ও চট্টগ্র্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের মানিকছড়ি লক্ষীছড়ি সাব-ডিভিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলে জানা গেছে। গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও সরকারী ভাবে ছুটি বাতিলের নির্দেশ পাওয়ার পরও সে নির্দেশের তোয়াক্কা করলেন না এ কর্মকর্তা।

কর্তব্যরত অবস্থায় তিনি অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো ছাড়াই খাগড়াছড়ি জেলা ত্যাগ করার বিষয়টি লিখিত এক অভিযোগে নিশ্চিত করেন, জেলা আওয়ামীলীগের নেতা ও ঠিকাদার রনজিত কুমার দে।  এ বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী মো: আব্দুল মালেকের সাথে মুঠোফোনে যোগোযোগ করা হলে, বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ করার বিষয়টি প্রথমে চেপে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পরে প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পেরে মোবাইলের লাইন কেটে দেন।

যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সকল ছুটি বাতিলের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও উল্লেখিত নির্দেশ উপেক্ষা করে দায়িত্বরত একজন কর্মকর্তা কিভাবে খাগড়াছড়ি ত্যাগ করলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলেন, সহকারী প্রকৌশলী মো: আবদুল মালেক এর খাগড়াছড়ি ত্যাগ করার বিষয়টি আমি জানি না। তবে তিনি যাওয়ার বিষয়ে কাউকে জানায়নি বলে দুষলেও “যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের ছুটি বাতিলের কথা তিনি স্বীকার করেন”।

এ নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর মো: ইসমাইল হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সওজ‘র সহকারী প্রকৌশলী মো: আবদুল মালেক এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ছাড়াও ঠিকাদারদের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ, কাজ শেষে বিল আটকে রেখে মোটা অংকের অর্থ দাবী, কাজের টাকা ভাগ-ভাটোয়ারার প্রস্তাব নিয়ে একাধিকবার ঠিকাদারদের সাথে হট্টগোলের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ঠিকাদাররা অভিযোগ করেন, এই আব্দুল মালেক একজন সহকারী প্রকৌশলী হওয়ার পরও দুটি সাব ডিবিশনের দায়িত্ব পাওয়ায় তার দূর্ণীতির মাত্রা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি-আঞ্চলিকতা ও অর্থের বিনিময়ে চুক্তিনীতিসহ অসংখ্য অনিয়মের কথা তুলে ধরেন অভিযোগকারীরা। এ সময় স্থানীয় ঠিকাদাররা সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে এ সরকারী কর্মকর্তার অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন