খাগড়াছড়িতে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা, স্বামী আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করেছে মাদকাসক্ত স্বামী। স্ত্রীকে হত্যার পর এক বছরের শিশু পুত্রকে শশুর বাড়িতে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘাতক স্বামী নিজাম উদ্দিনকে আটক করে পুলিশে দেয় পরিবারের সদস্যরা। আদরের মেয়েকে হারিয়ে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
বুধবার(৩ অক্টেবর) মধ্য রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খাগড়াছড়ি শহরের শাল বাগানে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি শহরের ঠিকাদার তাজুল ইসলামের তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে শিরিনা আক্তার সবার ছোট হওয়ায় পরিবারে সবার আদরের সে। মাত্র ১৪ বছর বয়সে শিরিনা আক্তারকে আবু ড্রাইভারের বখাটে ছেলে নিজাম উদ্দিন অপরণ করে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করে। এ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরীও হয়। পরবর্তিতে পারিবারিক সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি তাজুল ইসলাম মেনে নেয়।
ঠিকাদার তাজুল ইসলাম জানান, মেয়ের সুখের কথা ভেবে শহরের শাল বাগান এলাকায় মেয়ের স্বামী নিজাম উদ্দিনকে ১০ শতক জমি কিনে সেখানে বাড়ি করে দেই। পরবর্তিতে গাড়িও কিনে দেওয়া হয়।
শিরিনা আক্তারের মা মোর্শেদা বেগম মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, মাদকাসক্ত নিজাম উদ্দিন পরকীয়া প্রেমেও আসক্ত ছিল। এ নিয়ে প্রতিদিন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। বুধবার মধ্যরাতেও দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। বুধবার রাত দেড় টার দিকে নিজাম উদ্দিন এক বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে বলে, তার স্ত্রী অসুস্থ। ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় নিজাম উদ্দিনকে আটক করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে বাসায় গিয়ে দেখে শিরিনা আক্তরের লাশ খাটের উপর পড়ে আছে। শিরিনা আক্তারের হত্যাকারীর বিচার চেয়েছে তার স্বজনরা।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন টিটো জানান, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ নিজাম উদ্দিনকে আটক করে। প্রাথমিকভাবে আলামতে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
খাগড়াছড়ি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নয়ন ময় ত্রিপুরা জানান, রাত ২টার দিকে শিরিনা আক্তার নামে একটি মেয়েকে হাসপাতালে আনা হলেও সে অনেক আগেই মারা গেছে।