১৯৬% নয় খাগড়াছড়ির বেলছড়িতে ৭৭% ভোট কাস্টিং হয়েছে : ভুল ইলেকশন কমিশনের

াুিাড

সিনিয়র রিপোর্টার:

নির্বাচন কমিশনের ভুলে দেশ জুড়ে আলোচনায় চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ফলাফল। বিষয়টিকে তুঘলকি উল্লেখ করে বিভিন্ন জাতীয় ও অনলাইন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর নির্বাচনটি জনগনের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠে। সে সূত্র ধরে পার্বত্যনিউজেও সংবাদটি প্রকাশিত হয়।

এদিকে মঙ্গলবার রাত থেকে বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে আসার পর তা ‘টক অব দি মাটিরাঙ্গায়’ পরিণত হয়। বিজয়ী প্রার্থি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ এ ঘটনায় বিব্রত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন জনের প্রশ্নের মুখে তাদের বিব্রত হতে হয়।

নির্বাচন কমিশনের এ কাল্পনিক ফলাফল প্রকাশ আওয়ামীলীগের জন্য বিব্রতকর দাবী করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সুবাস চাকমা বলেন, ইসির মতো একটা দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের কাছে এতো বড় ভুল কেউ প্রত্যাশা করে না। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে একটি ভুলের মাধ্যমে স্থানীয় জনগনসহ দেশবাসীর কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

সকালে পার্বত্যনিউজ এ বিষয়ে অনুসন্দান শুরু করে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের প্রদত্ত ফলাফল ও রিটার্নিং অফিসারের প্রেরিত ফলাফল বিশ্লেষণে ইসির দেয় তথ্য ভুল ধরা পড়ে।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন অফিস ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের র্কাযালয়ের তথ্যমতে, বেলছড়ি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৮ হাজার ২‘শ ৬৬। এর মধ্যে নৌকা ৩১২৮, জাপা ১৬২, স্বতন্ত্র ৭৭৭, ধানের শীষ ২২০২ পেয়েছে। এ নির্বাচনে মোট বৈধ ভোটার ৬২৬৯, বাতিল ভোট ৯৬ মিলে মোট ভোট কাস্টিং হয়েছে ৬৩৬৫। ভোট কাস্টিং এর শতকরা হার ৭৭%।

কিন্তু ইসির হিসাব অনুযায়ী, ওই ইউনিয়নের মোট ভোটার ৩ হাজার ১২৮। অথচ সেখানে দেখানো হয়েছে ভোট কাস্টিং হয়েছে ৬ হাজার ১৩৫টি। এরমধ্যে বৈধ ভোট ৬ হাজার ৩৯ টি এবং বাতিল ভোট ৯৬টি। ভোট কাস্টিং এর হার ১৯৬%।

এ বিষয়ে বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো: শাহ আলম মিয়া বলেন, বিষয়টি আমাকে মারাত্বকভাবে বিব্রত করেছে। ইসি‘র ভুলে আজ নির্বাচনের ফলাফলটাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

ইসির মতো একটি প্রতিষ্ঠান কি করে এমন ভুল করতে পারে তা নিয়েও এখন উপজোর সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। তাদের মতে ইসির এমন ভুলে সাধারন মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরী হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ইত্তেফাকে যে রিপোর্টার রিপোর্ট করেছে আমি তার সাথে কথা বললাম। এ ধরণের রিপোর্ট করা উচিত নয়। আমার এখানে একটা কম্পাইলেশন হচ্ছে। সেখানে কিছু ক্লারিক্যাল মিসটেক হয়েছে। এইটা এখনো আমার কাছে আসে নাই। ইট ইজ নট অফিসিয়াল ডকুমেন্ট ইয়েট। এইটা কেন আপনি ভেতর থেকে নিয়ে গেলেন? ইট ইজ এন অফেন্স। কেন আবার তা নিয়ে রিপোর্ট করলেন? বিভ্রান্তি ছড়ালেন, সারা দেশের মানুষের কাছে নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা দিলেন। মানুষের মাঝে প্রশ্ন ছড়ালো, ওয়াটস গোয়িং অনইন ইলেকশন কমিশন? এইটা আমি দেখিও নাই। আমি যতোক্ষণ এ রিপোর্ট না দেখবো, এপ্রুভ না করবো ততোক্ষণ এটা কোনো অফিসিয়াল ডকুমেন্ট নয়। তার ভিত্তিতে আপনি কি করে রিপোর্ট করেন? এটা খুবই দুঃখজনক।”

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন