গাজার শরণার্থী শিবিরে নির্মম হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

fec-image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চালানো এ হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। গাজার সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মীরা সোমবার গাজার একটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন যেখানে গাজার একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি ভয়ংকর ও নৃশংস হামলায় হতাহতদের রাখা হয়েছে। তারা নিহতদের পুরো পরিবারের দুঃখজনক ঘটনার বর্ণনা শুনেছেন এবং মৃত শিশুদের দেখেছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসিস এক্স-এ বলেছেন, ‘ডাব্লিউএইচওর দল সেখানে স্বাস্থ্যকর্মী এবং নৃশংস হামলার শিকার লোকদের কাছ থেকে ভয়াবহ হামলার ঘটনা সম্পর্কে চরম বেদনাদায়ক বর্ণনা শুনেছেন।’

তিনি বলেন, ‘শরণার্থী শিবিরে হামলায় একটি শিশু তাদের পুরো পরিবারকে হারিয়েছে। হাসপাতালের একজন নার্সও একই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।’

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরের তিনটি বাড়িতে রোববার গভীর রাতে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছে।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ‘ঘটনাটি পর্যালোচনা করছে’ এবং ‘বেসামরিকদের ক্ষতি কমাতে সম্ভাব্য পদক্ষেপ গ্রহণসহ আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।

একটি গণকবরে সমাহিত করার জন্য সাদা ব্যাগে ঢেকে রাখা নিহতদের লাশের সারি মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ-এর আল-আকসা হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

টেড্রোস বলেন, ইসরাইলি হামলায় বিস্ফোরণে প্রায় ১০০ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন আল-আকসা হাসপাতালের কর্মীরা।

তিনি বলেন, কর্মীরা পরিচালনা করতে পারে এমন সক্ষমতার বাইরে এবং হাসপাতালটির শয্যা ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি রোগী রয়েছে।

রোগীদের ‘অনেকেই মৃত্যুর অপেক্ষায় রয়েছে’ একথা উল্লেখ করে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, গাজাবাসীদের ওপর সর্বশেষ এই হামলা প্রমাণ করে কেন আমরা একটি যুদ্ধ বিরতির দাবি জানাচ্ছি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরাইলের অবিরাম হামলা ও স্থল অভিযানে কমপক্ষে ২০ হাজার ৬৭০ জনকে হত্যা করেছে। এদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু।
সূত্র : এএফপি

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন