গুইমারায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের চেক প্রদান
খাগড়াছড়ির গুইমারায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্পদ ত্রিপুরার পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পঁচিশ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৮০ বছর বয়স্ক নির্পদ ত্রিপুরার জ্বর ছিল। গত ৫ই জানুয়ারি শীতের কারণে ঘরের মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহায় সে। এসময় অসুস্থ ও বয়স্ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্পদ ত্রিপুরার গায়ের কাপড়ে আগুন ধরে যায়। বাড়িতে অন্য কোনো লোক না থাকায় সে চেষ্টা করেও নিজের গায়ের আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। আগুনে নির্পদ ত্রিপুরার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ নির্পদ ত্রিপুরাকে খাগড়াছড়ি সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। পরে গত রোববার ৬ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিরাপদ ত্রিপুরা মৃত্যু বরন করেন বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক ।
বুধবার বিকালে উপজেলার সিন্দুকছড়ি এলাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অগ্নিকাণ্ডে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্পদ ত্রিপুরার স্ত্রীর নিকট পঁচিশ টাকার চেকটি তুলে দেন।
এর আগে নিহত বীর মুক্তি যোদ্ধার সমাধিতে পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (সাবেক) ম্রাসাথোয়াই মগ।
চেক হস্তান্তর কালে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজু চন্দ্র পাল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (সাবেক) ম্রাসাথোয়াই মগ সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী বলেন, অগ্নিকাণ্ডে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে জাতির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধা নির্পদ ত্রিপুরার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিলো।নির্বাচনে পূর্বে অনেক ব্যস্ততার মাঝেও খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অগ্নিদগ্ধ মুক্তি- যোদ্ধাকে খাগড়াছড়ি সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তিনি পরলোক গমন করেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোই আজকের এই চেষ্টা।