গুইমারা উপজেলা নির্বাচনে সৌহার্দ্যপূর্ণ প্রচার-প্রচারণায আওয়ামীলীগ-বিএনপি

Guimara Election NEWS Pic

নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা :

জমে উঠছে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচনী প্রচারণায় মুখর গুইমারার প্রতিটি জনপদ। চায়ের দোকান থেকে বাড়ির উঠুন সর্বত্রই প্রার্থী বা তাদের সমর্থকদের সরব উপস্থিতি। নিজের জয়ের জন্য মরিয়া প্রতিদ্বন্দ্বীরা। নির্বাচনী ময়দানে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের সরব প্রচার-প্রচারণা নির্বাচনী পরিবেশকে মুখরিত করেছে। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনকে ‘মর্যাদার লড়াই‘ হিসেবে গ্রহণ করে অবিরাম প্রচারণা চালাচ্ছে।

গুইমারা উপজেলা নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় আওয়ামীলীগের মেমং মারমা আর বিএনপির মোহাম্মদ ইউসুফ পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ক্লীন ইমেজের মেমং-ইউসুফ শুরু থেকেই নির্বাচনী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছেন। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার শেষ প্রান্তে এসেও কেউ কারো বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযোগ করেননি। তবে দুজনই একটি বিশেষ আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনকে প্রভাবিত করাসহ কালো টাকার দৌরাত্ম্য বন্ধে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বিভিন্ন নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ-বিএনপির প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ করার নজির থাকলেও সেক্ষেত্রে ব্যাতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছেন প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের শক্তিশালী দুই প্রার্থী আওয়ামীলীগের মেমং মারমা আর বিএনপির মোহাম্মদ ইউসুফ। তাদের –মতো করেই তাদের কর্মী-সমর্থকরাও একই গ্রামে পাশাপাশি প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। আওয়ামীলীগ-বিএনপি প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী কাঙ্খিত জয়-পরাজয়কে পেছনে ফেলে একটি সৌহার্দপূর্ণ নির্বাচনী ময়দান উপহার দিয়েছেন গুইমারা উপজেলাবাসীকে।

ধানেরশীষ প্রতীকে ভোট চাইতে আওয়ামীলীগ অফিসে যেমন গিয়েছেন বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইউসুফ, তেমনি বিএনপি অফিসেও নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মেমং মারমা। বুধবার সন্ধ্যার কিছুটা পরপরই নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বিএনপি অফিসে ছুটে যান আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মেমং মারমা। এসময় তিনি উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মোখলেছুর রহমানসহ উপস্থিত নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়সহ দোয়া কামনা করেন। এসময় তাকে বিএনপির একাধিক নেতার সাথে কোলাকুলি করতেও দেখা গেছে।

গুইমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ-বিএনপি প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী কাঙ্খিত জয়-পরাজয়কে পেছনে ফেলে সৌহার্দ্যপূর্ণ প্রচারণাকে গুইমারার রাজনীতির জন্য ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন গুইমারার সচেতন মহল। তারা মনে করেন, দুই প্রার্থীর সৌহার্দ্যপূর্ণ প্রচার গুইমারাবাসীকে একসুতোয় বাঁধতে সহায়ক হবে। গুইমারার উন্নয়নসহ আধুনিক ও সমৃদ্ধ গুইমারা বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে। নির্বাচনে জয়-পরাজয়কে মেনে নিয়ে এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ রাজনৈতিক সহাবস্থান প্রত্যাশা করেন সচেতন গুইমারাবাসী।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন