গুইমারা রিজিয়নের উদ্যোগে অসহায়দের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

fec-image

মহামারী করোনা সংকটে ঘরবন্দী নিম্ন আয়ের মানুষগুলো যখন অভাবের তাড়নায় দিশেহারা। অনাহারে মা যখন সন্তানের মুখের খাবার নিয়ে চিন্তিত। এমন সময় সেনাসদস্যদের মাসিক রেশন সামগ্রীর একটি অংশ নিয়ে ওইসব অসহায় মানুষ গুলোর পাশে দাড়িঁয়েছেন সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামান।

প্রতিদিনই গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন সিন্দুকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড় ও মানিকছড়ির দুর্গম পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকার দুস্থদের হাতে তুলে দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। যা খেয়ে বর্তমান সময়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন ওইসব অসহায় মানুষগুলো।

বুধবার সকালে গুইমারা কাশবনের সামনেসহ উপজেলার জালিয়াপাডা ও ফজরটিলা এলাকার করোনা সংকটে অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন গুইমারা রিজিয়ননের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামান।এছাডাও গুইমারা রিজিয়ন বিএম মেজর মো. এমরান হোসেন, জিটু আই মেজর মঈনুল আলম, জি থ্রি মেজর পারভেছ সহ সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় রিজিয়নর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামান বলেন, করোনা সংকট প্রতিরোধে, জনসচেতনতা ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করনে সেনাসদস্যরা নিবেদিতভাবে কাজ করছেন। অসহায় মানুষ গুলোর জন্য কাধের একপাশে ত্রাণ অন্য পাশে শত্রুকে ঘায়েলের অস্ত্র নিয়েই কাজ করা সেনাবাহিনীর জন্য নতুন কিছু নয়।কারণ দেশমাতৃকার সেবায় তারা বদ্ধপরিকর। আর এ কারণে যেকোনো দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের মনে সেনাবাহিনীর নাম উদয় হয়। রিজিয়নের আওতাধীন দরিদ্র পরিবার গুলোকে নিজেদের উদ্যোগে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সেনেটারি সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করার সময় সাধারণ মানুষকে নিজেদের নিরাপদ ও সুরক্ষায় সরকারি নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

ত্রাণ সামগ্রী গ্রহিতা কাঞ্চনী ত্রিপুরা ও রুবিরানী দে জানান, তাদের পরিবারের এই করুন মুহুর্তে মানবতার হাত বাড়িয়েছেন সেনাবাহিনী। বেশ কয়েকদিন তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কষ্টে আছেন। তাদের আস্থা ও বিশ্বাস ছিলো কেও সহযোগিতা না করলেও সেনাবাহিনী করবে। এজন্য সেনাবাহিনীর প্রতি তাদের সর্বোচ্চ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন