গ্রামের সালিশে কারবারির বিরোধিতা করায় খুন হন হৃদয় ত্রিপুরা

fec-image

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রামের বিভিন্ন সালিশে কারবারির বিরোধিতা করায় ক্ষোভে হৃদয় ত্রিপুরাকে হত্যা করেন কামিনী ত্রিপুরা।

পুলিশের সূত্রে জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৪টায় স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে মাটিরাঙ্গা থানার ০৬নং মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নের ০৯নং ওয়ার্ডের নতুনপাড়াস্থ লাসাইবো মারমা কারবারি মালিকানাধীন টিলার উপর থেকে ৪০ বছর বয়সি পুরুষের অর্ধগলিত মৃতদেহ পাওয়া যায়।

এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনার সংবাদ পেয়ে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) এর নির্দেশে মাটিরাঙ্গা থানার একটি চৌকস টিম ঘটনাস্থল থেকে নতুন পাড়ার (হাজাছড়া) হৃদয় ত্রিপুরা(৪০) এর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয় এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টির নিবিড় তদন্ত শুরু করেন।

পরে ভিক্তিমের ছোট ভাই মোহন ত্রিপুরা (৩০) বাদী হয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) এর বিচক্ষণ দিকনির্দেশনায় জেলা পুলিশের একাধিক চৌকস দল গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারিসহ সনাতন পদ্ধতি এবং তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান আসামী মাটিরাঙ্গা উপজেলার ওয়াসু মৌজার মুন্সীপাড়া কার্বারী কামিনী কুমার ত্রিপুরাকে (৪৩) গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার মুক্তা ধর প্রেস ব্রিফিংকালে এ সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী কামিনী কুমার ত্রিপুরাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি একজন কারবারি। হত্যার শিকার হওয়া ব্যক্তি হৃদয় ত্রিপুরা প্রায়ই গ্রামের বিভিন্ন বিচার সালিশে আসামী কামিনী কুমার ত্রিপুরা (৪৩) এর বিরোধিতা করে থাকেন। উক্ত বিষয়ে আসামী কামিনী কুমার ত্রিপুরা এর মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়, পরে এম ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটায় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। উক্ত হত্যার বিষয়ে আসামী কামিনী কুমার ত্রিপুরা বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন