চকরিয়ায় মা-মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় আদালতের স্বপ্রণোদিত মামলা, দু‘টি তদন্ত কমিটি গঠন

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গরু চুরির অভিযোগে দুই মেয়ে, এক ছেলে ও মা‘িসহ ৫ জনকে রশি দিয়ে বেঁধে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্যাতনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা নিয়েছে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

মামলাটি চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারকে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বিচারক রাজিব কুমার দেব।

কই ঘটনায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় হতে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের কমিটিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপ-সচিব) শ্রাবস্তী রায়কে প্রধান করা হয়েছে।

এদিকে, ২৩ আগস্ট বেলা ১টায় ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজ সনেট, চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মো. মতিউল ইসলাম ও চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান।
এসময় তারা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা শুনেন।

চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মো. মতিউল ইসলাম বলেন, চকরিয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে হারাবাংয়ের ভাইরাল হওয়ায় ঘটনায় জনস্বার্থে একটি মামলা নিয়েছেন। মামলাটি তাকে (চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার) ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

আদালতের উক্ত নির্দেশনা পত্রটি হাতে পেয়েছেন বলে জানান তিনি।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ সনেট জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্যাতনের দৃশ্যটি ভাইরাল হওয়ার পর তার দৃষ্টি গোচর হয়। তিনি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, সংঘঠিত ঘটনার বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তন্মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ উপপরিচালককে একটি তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

গত ২১আগস্ট হারবাং ইউনিয়ন পরিষদে ঘটনার পর ২৩ আগস্ট দিবাগত রাত থেকে মা-মেয়ে ছেলেকে নিযার্তনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর স্থানীয় প্রশাসনের টনক নড়ে।

প্রধান অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান মুঠোফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

অপরদিকে, মা-মেয়েসহ ৫ আসামি চুরির মামলায় কারাগারে রয়েছেন। আসামীদের আইনী সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: চকরিয়া, জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন