চকরিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা করে টাকা ও মোবাইল লুট, আহত ৪

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ৪ জনকে দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় দুপুরে চকরিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেছে আক্রান্ত পরিবার।

রোববার (২১ মে) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা স্কুল স্টেশনের পশ্চিমে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে জানা গেছে, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা স্কুল স্টেশন্থ মৃত মোহাম্মদ হোছাইনের ছেলে চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লিখক সহকারী এরশাদ হোছাইন বিভিন্ন ব্যাক্তির পে-অর্ডার টাকা নিয়ে তার বাড়ি থেকে অফিসে যাওয়ার উদ্দ্যেশ্য বের হয়। পথিমধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাঁকে বসতভিটার জায়গা নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন দক্ষিণ বহদ্দারকাটা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে মোজাম্মেল হক ও তার বড় ভাই মোজাফফর।

এসময় তাদের ভাতিজা আবুল ইউসুফ, আবু হানিফ নোমান তার চাচা মোজাম্মেলের নির্দেশে অতর্কিত ভাবে দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র নিয়ে এরশাদের ওপরে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন। এরশাদের ওপরে হামলার খবর পেয়ে তার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে মিজান ও নেজাম উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকে মারধর করে আহত করেন।

পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

হামলার সময় আহত এরশাদের কাছে হাতব্যাগে থাকা ঘটনাকারীরা পে-অর্ডার বাবদে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, স্কীনটার্চ মোবাইল, মিজানের কাছে রক্ষিত ব্যবসার ২৭ হাজার ৩শত টাকা ও তার ছোট ভাই নেজামের ব্যবহৃত ১৭ হাজার টাকার মূল্যমানের স্কীনটার্চ মোবাইল ছিনিয়ে নেয় বলে এজাহারে দাবী করেছেন মামলার বাদী।

বর্তমানে হামলাকারীরা থানায় এজাহার দায়ের করার কথা জানতে পেরে আরো বেপরোয়া হয়ে নানা ধরণের হাকাবাঁকা, অশ্লীল গালিগালাজ, প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে মামলার বাদী জানান। রোববার দুপুরে গুরুতর আহত এরশাদের বড় ভাই আমজাদ হোসাইন বাদী হয়ে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতানামা দেখিয়ে চকরিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেন।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, হামলার ঘটনা বিষয়ে থানায় এজাহার দেওয়া হয়। বিষয়টি তদন্তের জন্য মাতামুহুরি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।