চকরিয়া-পেকুয়া আসনে লড়বে তিন সালাহউদ্দিন

চকরিয়া প্রতিনিধি :

কক্সবাজার-১ চকরিয়া ও পেকুয়া আসনে তিন দলের তিন সালাহউদ্দিনকে নিয়ে ভোটারদের মাঝে নানা কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। এবারও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা তিন দল থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে আলোচনায় এসেছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এএইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ সর্বপ্রথম চকরিয়া উপেজলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় পাটি (এরশাদ) থেকে মনোনয়ন নিয়ে পরপর দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় পার্টি জেপি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জাপা (মঞ্জু) থেকে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য ওই দল থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস সালাহউদ্দিন আহমদ এ আসন থেকে বিগত ২টি সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। একাদস সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিএনপি থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন।সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। তিনি এলাকার ভোটারদের মাঝে এপিএস সালাহ উদ্দিন হিসেবে পরিচিত।

অপরজন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি বর্তমান জেলা আ’লীগের প্রভাবশালী নেতা। তিনি ৬ম, ৭ম ও ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ বার বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমদের কাছ থেকে পরাজিত হন। সর্বশেষ ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সালাহউদ্দিন আহমদের সহধর্মীনি এড. হাসিনা আহমদের কাছে হেরে যান। এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে লড়তে তিনিও ৪র্থ বারের মত দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

কক্সবাজার-১, চকরিয়া-পেকুয়া আসনে তিন সালাহউদ্দিনের ব্যাপক পরিচিতি ও জনসমর্থন রয়েছে। বিএনপি’র সালাহ উদ্দিন আহমদ বর্তমানে ভারতের শিলংয়ে অবস্থান করলেও এখনো দেশে ফিরে না আসায় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার ব্যাপারে এখনো অনিশ্চিত রয়েছেন।

১৯৭৩ সালের নির্বাচনের পর কক্সবাজার-১, চকরিয়া-পেকুয়া আসনটি আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়। এক সময়ে বিএনপি ৪ বার, জাতীয় পাটি ৩ বার ও জামায়াত ইসলামী ১ বার সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

উল্লেখিত তিন সালাহউদ্দিনের মধ্যে এএইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ দুই বার, সালাহউদ্দিন আহমদ দুই বার সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে বিজয়ের মূখ দেখলেও আওয়ামী লীগের সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি থকে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিন বার নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করলেও একবারও বিজয়ের মুখ দেখেনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন