চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন যাত্রী দূর্ভোগ অসহনীয়

Untitled-1

মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধিঃ

খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মানিকছড়ির ধসে পড়া বেইলী ব্রীজটি সরিয়ে বিকল্প সেতু তৈরির কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মনিকো লি.। তবে খাগড়াছড়ি-চ্রটগ্রাম সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বিকল্প আন্তঃসড়কে হালকা যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা নিয়েছে। এদিকে দূর্ঘটনা কবলিত গাড়[ীর চালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সওজ।  

জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা অধিক পাথর বোঝাই ট্রাক নং পাবনা-ট-১১-০৬৭০ ও ফটিকছড়ি থেকে ছেড়ে আসা মাইক্রোবাস নং-চট্ট মেট্রো-চ-১১-২৮৭৫ দু’টি গাড়ি একই সময়ে বেইলী ব্রিজে উঠলে সম্পূর্ণ ব্রীজটি দুমড়ে-মুচড়ে নদীতে পড়ে যায়। এতেই ট্রাক চালক মো. সাহাব উদ্দিন (৫৫), পিতা-মৃত জহির উদ্দিন, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম এবং হেলপার মো. ইউনুছ (৩২), পিতা-আ. মজিদ, গ্রাম-বড়াইগ্রাম, নাটোর গুরুত্বরসহ ১৬ জন আহত হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন চালক ও হেলপারের মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে।

দূর্ঘটনার পর হতে চট্রগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে তবে মানিকছড়ির প্রশাসন বিকল্প সড়কে হালকা যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করলেও ট্রাক ও যাত্রীবাহি বাস সম্পূর্ণ বন্ধ। এতে করে খাগড়াছড়িতে নিত্যদ্রব্যমূল্যের সংকটের আশংকা করছে ব্যবসায়ীরা।

গতকাল শনিবার সকাল থেকে দূর্ঘটনাস্থলের ব্রিজটি সরিয়ে ক্ষনস্থায়ী সেতু তৈরির কাজ শুরু করেছেন মনিকো লি. প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা। এছাড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. তরিকুল ইসলাম দূর্ঘটনা কবলিত গাড়ীর চালকের বিরুদ্ধে মানিকছড়ি থানায় ২৭৯,৩৩৮(ক) ও ৪২৭ ধারায় মামলা করেছে। মামলা নং ২ তাং ৬ জুন।

এদিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে খোঁজখবর নিচ্ছেন ওসি মো. শফিকুল ইসলাম ও সাব জোন কমান্ডার মেজর সেলিম, ২৯ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক মো.মইনুল ইসলাম, ইউএনও সনজিদা শরমিন, উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা, রামগড় সার্কেল মো. শাহাজাহান এবং সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. রাব্বি আহসানসহ সড়ক ও জনপদের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা।

মনিকো লি. এর প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার পাল জানান, ধসে পড়া ব্রীজটি পূণঃস্থাপন করতে কমপক্ষে ৭ দিন সময়  লাগবে।
 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন