চৈক্ষ্যং খালের ভাঙ্গনে  বিলীন হচ্ছে আলীকদমের ঘরবাড়ি খেত-খামার

alikadam-nadi-vangong-news-pic-copy

আলীকদম প্রতিনিধি:

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় চৈক্ষ্যং খালের ভাঙ্গনে একেরপর এক বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি। তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও খেত-খামার। প্রতিবর্ষা মৌসুমে খালের ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা। গত শুক্রবার দুপুরে খালের ভাঙ্গনের চিত্র সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য থোয়াইচা হ্লা মার্মা।

সরেজমিন পরিদর্শনে জানা গেছে, বিগত কয়েকবছর ধরে প্রতিবর্ষা মৌসুমে চৈক্ষ্যং খালের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শত শত পাহাড়ি ছড়া ও ঝর্ণার সমন্বয়ে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এই চৈক্ষ্যং খাল। বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে তীব্রতা বৃদ্ধি পায় এ খালের।

উপজেলার ছাবের মিয়া পাড়ার বাসিন্দা ও আ’লীগ নেতা ফরিদ আহামদ সর্দার জানান, গত কয়েকবছর ধরেই চৈক্ষ্যং খালের ভাঙ্গনের তীব্রতায় বিলীন হচ্ছে নতুন নতুন ঘরবাড়ি। চলতি বর্ষায় খালের তীর ভাঙ্গনে তার বাড়ি-ভিটাও গ্রাস হতে চলেছে।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে ছাবের মিয়া পাড়া ও সোনা মিয়া সর্দার পাড়া এলাকার নুর হোসেন, হাবিব নুর, বদর মিয়া, মনির আহামদ, বিধবা গুলবাহার বেগম, মাস্টার নুর হোসেন ও শাহ আলমসহ আরো বাড়ি খাল ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ফরিদ সর্দার, বদি আলম ও সৈয়দ আলমসহ খাল তীরবর্তী লোকজনের বাড়িঘর।

স্থানীয় বাসিন্দা হাবিব নুর বলেন, খাল ভাঙ্গনরোধে সরকারি বড় ধরণের একটি প্রকল্প গ্রহণ জরুরী। যাদের বাড়ি-ঘর খালগর্ভে বিলীন হয়েছে ভিটেহারা হয়ে নিঃস্ব ও মানবেতর জীবনযাপন করছে। কয়েকজন অন্যের আশ্রিত হয়ে থাকলেও কয়েকজনের অবস্থায় শোচনীয়।

সরেজমিন পরিদর্শনকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য থোয়াইচা হ্লা মার্মা বলেন, চৈক্ষ্যং খালের ভাঙ্গনের চিত্র সম্পর্কে আমি আগে থেকেই ওয়াকিবহাল। খালের ভাঙ্গনে স্থানীয়দের বাড়িঘর বিলীন হওয়া সম্পর্কে জেনেছি। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করবো। আগামীতে এ খালের ভাঙ্গনরোধে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প গ্রহণ করার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন