জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শপথ নিল কক্সবাজার পুলিশ সুপারসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা

IMG_0705 copy

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজারে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়েছে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশের প্রধান অতিথি জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথসহ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকগন মুষ্টিবদ্ধ হাতে শপথ গ্রহণ করেছেন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। তারা শপথ নেয়, সুন্দর বাংলাদেশ বির্নিমানে চিরতরে বন্ধ করবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ।

শনিবার সকালে কক্সবাজার সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় ছাড়াও পৃথক সময়ে এ সবাবেশ চলে সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কক্সবাজার সিটি কলেজ, কক্সবাজার সরকারী কলেজ ও কক্সবাজার পলিটেকনিক্যাল কলেজেসহ জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজে।

এসব স্কুল-কলেজে অনুষ্ঠিত জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখছে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। তারা বলছে, সর্তক থাকবে নিজেদের অপরাধ কর্ম থেকে মুক্ত রাখবে। তাদের কোন সহপাঠি জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাস কর্মে লিপ্ত হতে গেলে ফিরিয়ে আনবে। বুঝাবে, বাঁধা দেবে, পয়োজনে অভিভাবক, শিক্ষক ও পুলিশের সহযোগিতা নেবে।

বক্তব্যে অভিভাবকদের বলতে শুনা যায়, তারা কখনও চাননা তাদের আদরের সন্তান সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদের সাথে লিপ্ত হোক। তারা চান তাদের সন্তান দেশের সম্পদে পরিণত হোক। তারা জানে জঙ্গিবাদ করার সময় পুলিশের গুলিতে নিহতদের অভিভাবকেরা সন্তানের লাশ পর্যন্ত নিতে আসেননি। এ প্রসঙ্গে মো. ইলিয়াছ হোসেন নামে এক অভিভাবক বলেন, সন্তান হারানোর বেদনা পিতা-মাতার চেয়ে বেশি আর কেউ বুঝবেনা। কিন্তু মন কাঁদলেও জঙ্গী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত তার সন্ত্রান এই সমাজে জন্য গৃণিত-জঘণ্য। তাই গৃণায় তারা লাশ দেখতেও আসেনি।

এ সময় শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা তাদের সন্তান তুল্য। যেসব শিক্ষক সন্তানদের ভুল পথে ধাবিত করে বা ভুল পথে যাওয়া শিক্ষার্থীকে বাঁধা না দেয় তারা কখনও প্রকৃত শিক্ষক হতে পারেনা। তাই প্রত্যেক শিক্ষককে সচেতন থাকতে হবে তাদের সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীরা যেন ভুল পথে ধাবিত না হয়। তাদের খেয়াল রাখতে হবে শিক্ষার্থীরা যেন নিয়মিত স্কুলে আসে। প্রয়োজনে অভিভাবক ও প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে হবে।

সমাবেশে আমন্ত্রিত রাজনীতিবিদদের বক্তব্যে শুনা যায়, দেশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে সহযোগিতা করছে স্বাধীনতার বিরোধীরা। যারা দেশকে পঙ্গু করতে চায় সেসব খারাপ লোকজন টার্গেট করেছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের। যা খুবই নেক্কারজনক। তবে বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় এই বাংলায় ঠাঁই হবে না সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের।

জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ বলেন, কোন শিক্ষার্থী যদি একদিন স্কুল-কলেজে না যায় তাহলে শিক্ষকদের দায়িত্ব বিষয়টি অভিভাবককে জানানো। আর যদি বেশ কিছুদিন না আসে তাহলে অভিভাবক ও শিক্ষক উয়ই মিলে পুলিশকে জানাতে হবে। অভিভাক এবং শিক্ষকদের সচেতন থাকতে হবে শিক্ষার্থীদের গতিবিধি সর্ম্পকে। আর সন্তুানের সুন্দর ভতিষ্যতের জন্য প্রশাসন সবসময় সাথে রয়েছে।

বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, মানুষ হত্যা করে বেহেস্তের টিকিট পাওয়া যায়না। এই নিয়ম কোন ধর্মে নেই। বরং যারা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ করতে গিয়ে মারা গেছে তাদের লাশ পর্যন্ত নিতে আসেনি অভিভাবকেরা। প্রাণপ্রিয় সন্তানকে হত্যাকারী হওয়ার জন্য লালন পালন করা হয়নি। আর এই শিক্ষার্থীদের যারা ভুল পথে ধাবিত করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পাশাপাশি সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন