ডা. অপহরণের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে চিকিৎসকদের ৭২ ঘন্টার কর্মবিরতি চলছে

06

আলমগীর মানিক, রাঙ্গামাটি :
রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক তুষার কান্তি নাথকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশ তাকে চোখ বাধা ও আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। রাঙ্গামাটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে চিকিৎসকের উপর হামলার প্রতিবাদ এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাঙ্গামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে কর্মবিরতি পালন শুরু করেছে চিকিৎসকেরা। শুধুমাত্র হাসপাতালে জরুরী বিভাগ খোলা থাকবে। এর ফলে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতেও চিকিৎসকদের সেবাদান বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন রাঙ্গামাটির সভাপতি উদয় শংকর দেওয়ান জানান, আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার করা নাহলে আরো কঠোর কর্মসূচি দ্ওেয়া হবে। এছাড়া রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা জোরদার এবং ভবিষ্যতে এই ধরণের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে বিএমএ।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও বিশ্বজিৎ মহাজন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা যারা এই হাসপাতালে কাজ করছি তারা কেউই নিরাপদ নই, তাই আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয় টার দিকে তুষার কান্তি ঔষধ কোম্পানীর এক প্রতিনিধির মোটর সাইকেলে করে দায়িত্ব পালনের জন্য বনরুপা থেকে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। তারা শহরের উত্তর কালিন্দীপুর রানী দয়াময়ী স্কুলের সামনে পৌছলে পিছন থেকে একটি পিকআপ তাদের হালকা ধাক্কা দিয়ে ফেলে তুষারকে কালো কাপড় দিয়ে মুখ বেধে পিকআপে তুলে নিয়ে যায়।

আহত চিকিৎসক জানান, তাকে তুলে নেওয়ার ৫/৭ মিনিটের পর ফটক খোলার শব্দ পান। এরপর একটি কক্ষে রেখে মুখ বাধা অবস্থায় মাথার উপর থেকে ঠান্ডা পানি ঢালা হয়। গ্লাসের তলা দিয়ে পায়ে আঘাত করা হয়। এসময় তাকে বলা হয় সার্ভিস ভালো কর বলে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। পরে চোখ বাধা অবস্থায় তাকে একটি জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়।

কোতয়ালী থানার এসআই বিকাশ দাশ বলেন, খবর পাওয়ার পর আমরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করি। রাত পৌনে একটার সময় শহরের বেতার কেন্দ্র সংলগ্ন শিমুলতলী থেকে তুষারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, তুষারকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। তাকে পায়ে বেশী আঘাত করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন