তসলিমার দেহরক্ষীর আত্মহত্যার চেষ্টা কেন?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিনের ভারতীয় দেহরক্ষী গত সোমবার মাথায় গুলি করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তসলিমার ভারতের ভিসার মেয়াদ আরো এক বছরের জন্য বাড়ানো হলেও বিতর্কিত এই লেখিকা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এতে তসলিমার দেহরক্ষীর আত্মহত্যার চেষ্টা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ যদিও দাবি করেছে, দেহরক্ষী সুমিত ভার্গিস বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন। তবে কী কারণে তিনি বিষণ্ণ ছিলেন এবং আত্মহত্যার চেষ্টাই বা কেন করলেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তসলিমার জন্য ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সুমিতকে দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশি বিতর্কিত লেখক তসলিমা নাসরিনের দেহরক্ষী সুমিত ভার্গিস নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ঘটনার পরপরই তাকে স্থানীয় এআইআইএমএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। আপাতত তিনি আশঙ্কামুক্ত।
পুলিশ জানায়, তসলিমা নাসরিনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল সুমিত ভার্গিস সোমবার রাতে নিজের রাইফেল দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তার ডান চোখের ওপরে গুলি লেগেছে। গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে তসলিমা নাসরিনের গৃহকর্মীরা সুমিতের ঘরে যান। পরে তারা ঘটনাটি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। সিআরপিএফ জওয়ান সুমিতকে দ্রুত এআইআইএমএস ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।