তানজানিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৪৭

fec-image

পূর্ব আফ্রিকার দেশ উত্তর তানজানিয়ায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৪৭ জন নিহত এবং ৮০ জন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দেশটির হানাং পর্বতের ঢালের কাছে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। রাষ্ট্রপতি সামিয়া হাসানের নির্দেশে উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘরবাড়ি ও অবকাঠামোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, তানজানিয়ার উত্তরাঞ্চলে হানাং পর্বতের ঢালের কাছে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস ঘটেছে। দুর্যোগকবলিতদের উদ্ধার প্রচেষ্টায় স্থানীয় কর্মকর্তারা কাজ করছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং উদ্ধার সহায়তায় জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় জেলা প্রশাসক জেনেথ মায়াঞ্জা জানিয়েছেন, শনিবার (৪ ডিসেম্বর) তানজানিয়ার রাজধানী ডোডোমা থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৮৬ মাইল) উত্তরে কাটেশ শহরে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়ে ভূমিধস ঘটে।

উত্তর তানজানিয়ার মানিয়ারা এলাকার আঞ্চলিক কমিশনার কুইন সেন্ডিগা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এ ঘটনায় রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৭ ও আহত ৮৫ জনে পৌঁছেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ’

মায়াঞ্জা যোগ করেন, বন্যার পানির তোড়ে অনেক এলাকার রাস্তা ভেঙে পড়া গাছ ও পাথর দিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে গেছে। বাকি রাস্তাগুলোও কাদা ও পানিতে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে।

দেশটির এমন ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সময় কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন তানজানিয়ার রাষ্ট্রপতি সামিয়া সুলুহু হাসান।

সেখান থেকেই দুর্যোগে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি সামিয়া হাসান। উদ্ধারকার্যের গতি বাড়াতে আরও বেশি করে সরকারি প্রচেষ্টা চালাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

তানজানিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনলাইনে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় রাষ্ট্রপতি সামিয়া সুলুহু হাসান বলেন, ‘আমরা এই ঘটনায় দেখে খুবই মর্মাহত।

বন্যাকে তানজানিয়ায় সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপদ বলা হয়ে থাকে। বন্যায় প্রতি বছর দেশটিতে কয়েক হাজার মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়ে থাকেন।

গত মাসে তানজানিয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের ফলে রাজধানী দারুস সালাম এবং কিগোমা, কাগেরা, গেইতা ও উনগুজা এলাকায় প্রাণহানি এবং বহু সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে গেছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: তানজানিয়া, বন্যা, ভূমিধস
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন