থানচি-রেমাক্রি নদী পথে সহজ নৌ চলাচলের দাবি

fec-image

কেউ পাহাড়ের মুক্তা আবার কেউ পৃথিবীর ভূ-স্বর্গ হিসেবে মূল্যায়ন করে রেমাক্রি-তিন্দু ইউনিয়নকে। বান্দরবানের থানচি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৩ কি:মি দূরে রেমাক্রি ইউনিয়নের অবস্থান। নাফাকুম, অমিয়াকুম, সাতভাই কুম, বড় পাথরসহ অসংখ্য পর্যটন স্পট ঘিরেই এখানকার পর্যটন। পর্যটকরা ভ্রমনের সময় পাথরে নদী (সাঙ্গু নদী)তে ইঞ্জিন চালিত বোট ব্যবহার করে থাকে। এই নৌকা ভ্রমন রোমাঞ্চকর অনুভূতি অনুভব করে পর্যটকরা।

ঢাকার খিলক্ষেতের বাসিন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তানভিরের মতে, নদী ভ্রমণটা না থাকলে কেবল রেমাক্রি-নাফাখুম দর্শন একেবারেই পানসে মনে হতো। নদী পাহাড় আর আকাশের এমন সমন্বয় পৃথিবীর কোথাও আছে কিনা তার সন্দেহ!

থানচি উপজেলার ২নং তিন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মংপ্রু মারমা জানান, গত কয়েক বছরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে তার ইউনিয়নে। মানুষের আরো কিছু চাহিদার মধ্যে নদী পথ সংষ্কারের দাবি উল্লেখ্য যোগ্য।

রেমাক্রি বাজারের মেলোডি গেস্ট হাউসের মালিক লাল পিয়ান বম। দুটি ইঞ্জিন চালিত বোটও রয়েছে তার। তিনি জানান, থানচি থেকে রেমাক্রি নদী পথে ২০-২৫ পয়েন্টে পাথরে আটকে যায় নৌকা। পর্যটক ও স্থানীয়দের সুবিধার্থে এই পয়েন্টে পাথরগুলো দুপাশে কিছুটা সরিয়ে দেওয়া হলে নৌ চলাচল সহজ হবে।

থানচি-রেমাক্রি নৌপথে ইঞ্জিল বোটের মাঝি রাসেল জানান, পাথরের ঘঁষাতে নতুন নৌকাগুলো প্রতি বছর সংষ্কার করতে হয়। অনেক সময় পাথরে ধাক্কা লেগে নৌকায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়। এই অবস্থায় সাঙ্গু নদীতে সহজ নৌ চলাচলের দাবি এই নৌ চালকেরও।

তবে সাঙ্গু পাথর সরানোর পক্ষে নয় প্রশাসন। তারপরও সহজ নৌ পথের বিষয়টি বিবেচনা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রকৃতিতে আঘাত না করে বৈজ্ঞানিক উপায়ে সাঙ্গু পাথরে নদী নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি গবেষণা চলছে।

এই প্রসঙ্গে থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল হক মৃদুল বলেন, থানচি-রেমাক্রি নদী পথে কিছু কিছু জায়গায় বোট (নৌকা) আটকে যায় ঠিক। সেখানে পাথরগুলো সরিয়ে দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটা প্রতিষ্ঠান থেকে দাবিও উঠেছে।

কিন্তু এখানকার মূল আকর্ষণ হচ্ছে পাথর। এই পাথর থাকার কারনে সবখানে প্রাকৃতিক প্রবাহ রয়েছে। নদীর পানি পাথরে ধাক্কা লেগে লাফিয়ে ও হেলেদুলে নৌকা ভ্রমণটি আন্দদায়ক মনে করে পর্যটকরা। তাই আপাতত প্রশাসন ন্যাচারালের উপর হাত দিচ্ছেনা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন