নাইক্ষ্যংছড়িতে দুই বছরের শিশুর করোনা পজেটিভ
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে যায় দুই বছরের এক শিশু কন্যা। চিকিৎসক করোনা উপসর্গ দেখে নমুনা সংগ্রহ করে। সেই নমুনা টেস্টে পজেটিভ পাওয়া গেছে ।
সূত্রে জানাযায়, সদর ইউনিয়নের মসজিদঘোনা এলাকার মামুন উর রশিদ এর দুই বছরের শিশু কন্যা আমেনা বলে জানা গেছে।
বিষয়টি ৩ জুন (বুধবার) সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা. আবু জাফর মো. ছলিম। তিনি বলেন, গত ২৪ মে সদর ইউনিয়নের মসজিদঘোনা এলাকার আমেনা নামে দুই বছর বয়সী এক শিশু কন্যা হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসে। চিকিৎসক জ্বর সর্দি কাশি দেখে বর্তমান পরিস্থিতির ন্যাশানাল গাইড লাইন অনুযায়ী নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয় । সেই নমুনা নয় দিনের মাথা রিপোর্ট আসে পজেটিভ । শিশু রোগীকে হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানাযায়, নমুনা রিপোর্টের কালক্ষেপন হচ্ছে। কক্সবাজার ল্যাবে বিভিন্ন উপজেলার নমুনায় জমা হওয়াতে রিপোর্ট পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অনেকে। আর নমুনা সংগ্রহ করতে যে সোয়াব স্টিক প্রয়োজন তা এই হাসপাতালে সংকট রয়েছে।
নমুনা সংগ্রহও ধীরগতিতে চালাতে হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয়দের আতঙ্ক বিরাজ করছে। মা-বাবা সুস্থ থেকে কিভাবে শিশুর দেহে এই মারাত্মক ভাইরাসের লক্ষণ মিলল? এই নিয়ে পুরো এলাকায় হইচই শুরু হয়ে গেছে। আবার অনেকেই রিপোর্টের উপর সন্দেহ করছে ভূল রিপোর্ট কিনা? এসব বিষয় নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে আশঙ্কায় দিন কাটছে।
একদিকে রিপোর্টের কালক্ষেপন অন্যদিকে নমুনা সংগ্রহ ধীরগতি। স্বাস্থ্য বিভাগে মানসম্মত আইসোলেশনে কোন ব্যবস্থা নেই। পাঁচ বেডের নামে মাত্র আইসোলেশন। এলাকায় দিন দিন রোগী যেমন বাড়ছে তেমনি এলাকায় অচেনা মনুষের আনাগোনা বাড়ছে প্রতিদিন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি জানান, নমুনা পজেটিভ পাওয়া শিশু কন্যার বাড়ি লকডাউন করার ব্যবস্থার কার্যক্রম চলছে। তবে উর্ধ্বতনের পরামর্শক্রমে শিশুকে হোম কোয়ারেন্টিনে অথবা হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত পরে জানা যাবে। তবে আপাততে হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থ চলছে।