পানির স্রোতে ভেসে গেছে ১ জন

নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রবল বর্ষণে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত, কৃষকরা বিপাকে

fec-image

নাইক্ষ্যংছড়িতে টানা ৪ দিনের প্রবল বর্ষণে চলাচল ব্যাহত হওয়ায় নাইক্ষ্যংছড়ি ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে পারে নি। একই সাথে উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নে পানির স্রোতে ভেসে গেছে মেমপই ম্রো (৩০) নামে ১ ব্যক্তি।

সংশ্লিষ্ট বলেন, রাস্তা-ঘাটের চলাচল সমস্যার কারণেই সোমবার ( ৭ আগষ্ট) উপজেলার ৫৬ টি সরকারি এবং ১২ টি বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ২ শতাধিক প্রতিষ্ঠানে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে পারে নি ।

অপরদিকে পানিতে তলিয়ে যাওয়া আগাম রবিশস্য এখনও পানির নিচে। যা পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা।

ঘুমধুমের ব্যবসায়ীরা জানান, ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকায় ৩ টি গ্রাম বন্যার পানিতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। এছাড়া উপজেলার কয়েকটি প্রধান সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানী বলেন, পাহাড় ধসে কয়েকটি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বাইশারী আলিক্ষ্যং সড়ক চাক হেড়ম্যান পাড়া সড়কে কযেকটি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

সোমবার (৭ আগস্ট) আলীকদম বাজার থেকে আসার সময় বুচিখালে পাহাড়ি ঢলের পানির স্রোতে দৌছড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড রিংয়ে ম্রো পাড়ার বাসিন্দা ঐবরাত ম্রোর ছেলে মেমপয়ই (৩০) ভেসে যায়। বৃষ্টির কারণে এখনো পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি তাকে। তবে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা।

অপর একাধিক সূত্র জানান, উপজেলার কৃষিতে নির্ভর গ্রামগুলোতে কৃষকরা আগাম রবিশস্য চাষ করলেও ৫ দিনের টানা বর্ষণে সে চাষের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো, এনামুল হক বলেন, কৃষকরা খরিপ-মৌসূমে আগাম রবিশস্য করেছে। যা ছিল বিপদজনক। তিনি বন্যার ক্ষতির বিষয়ে সজাগ থাকতে তার অধিনস্থ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা বলেন, পাহাড়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো খাল- নদী নির্ভর। প্রাকৃতিক যে কোন দুর্যোগ নামলে বাচ্চারা স্কুলে যায় না। তবে শিক্ষকরা যথারীতি হাজির থাকেন।

বর্তমানে ৪/৫ দিন ধরে প্রবল বর্ষনে যে দুর্যোগ নেমেছে,তাতে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ ষ্কুলে না যাওয়া শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়েছে এবং হচ্ছে। তবে উপজেলা সদরসহ কিছু এলকার বেশ কয়েকটি স্কুল শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো বেশী। যা বৃষ্টি থামলেই স্বাভাবিক হবে।

এ প্রতিবেদক উপজেলা সদরের প্রাথমিকের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরেজমিন গিয়ে এর সত্যতা পেলেও মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বেলায় ছিলো তার উল্টো। তবে প্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের উপস্থিতি চোখে পড়া মতো ছিলো।

সোমবার বিকেলে এ প্রতিবেদক এ রিপোর্ট লেখাকালে উপজেলার সর্বত্র থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিলো। যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে দুর্ভোগ বেড়েছে দ্বি-গুন। অনেক কৃষককে রাতে বন্যার আশঙ্কায় গরু-ছাগলগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন