নাইক্ষ্যংছড়ির দুর্গম পাহাড়ে বাদ পড়া মুরুং-তঞ্চঙ্গাদের টিকা দেয়া হবে আগামীকাল

fec-image

টিকায় বাদ পড়া দুর্গম পাহাড়ে ৩০ গ্রামের মুরুং-তঞ্চঙ্গাদের প্রথম ডোজ করোনা টিকা দিতে টেকনিক্যাল কমিটি মাঠে নেমেছে। তারা বুধবার দিনব্যাপী অত্যন্ত দুর্গম দোছড়ি এ জনপদে টিকার ক্যাম্প বানিয়ে প্রথম ডোজ টিকা দেবেন পাহাড়িদের।

বিশেষ করে অনাগ্রহী দুর্গম পাহাড়ের ৩০ গ্রামের মুরুং-তঞ্চঙ্গাদের প্রথম টিকার আওতায় আনা হচ্ছে এভাবে। যার প্রধান উদ্যোক্তা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহর নেতৃত্বে একটি কমিটি। এতে আরও রয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: এ এম জেট সেলিম, দৌছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান ও পল্লব বড়ুয়াসহ করোনা ভাইরাস বিষয়ে অভিজ্ঞ টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা।

এ বিষয়ে ডা: এএম জেট সেলিম বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমনের পর টিকা দেয়া শুরু হলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১৭ মৌজার মধ্যে প্রায় সর্বত্র এ টিকা দেয়া হয়। যা এখনও চলমান।

উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মধ্যে মার্মাসহ একটি বড় অংশও এ টিকা গ্রহণ করেন। অথচ এ জনপদে বসবাসরত মুরুং, তঞ্চঙ্গা, চাকসহ অপর কিছু উপজাতীয় জনগোষ্ঠী টিকার এ ডোজ নিতে মোটেও আগ্রহী না। তারা টিকায় বিশ্বাসী না। কোনভাবেই তারা টিকা নিতে চাননি।

দোছড়ি ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ের লামে মুরুং বলেন, তারা টিকায় বিশ্বাসী না। তাদের টিকা নেয়ার বিষয়ে তেমন আগ্রহ নেই। এ কারণে মুরুং-তঞ্চঙ্গারা টিকা নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

এ সব কারণে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেকনিক্যাল কমিটি এ সব বাদ পড়া জনগোষ্ঠীকে প্রথম ডোজ টিকা দেয়া নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেন। বাদ পড়া এ সব পাহাড়ির সংখ্যা ৫ শতাধিক।

নাইক্ষংছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান বলেন, বাংলাদেশের সর্ব পূর্ব-দক্ষিনের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী দৌছড়ি ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে অত্যন্ত দুর্গম কিছু জনপদ রয়েছে। যেখানে বসবাস করে থাকে মুরুং, তঞ্চঙ্গা, চাকসহ অনেকেই। এরা করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে চান না। তারা নানা যুক্তিতে টিকা দেবেন না সাব জানিয়ে দেয়ার পর নাইক্ষ্যছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ বাদ পড়া অনাগ্রহী মুরুং-তঞ্চঙ্গাদের টিকার আওতায় আনতে উদ্যোগ নেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ বলেন, মূলত তারা এ ব্যাপারে অজ্ঞ। তাদের সচেতন করা সকলের দায়িত্ব। তারই অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন