নাফনদীতে ৩ মাসে আদম বোঝাই নৌকা ডুবির পৃথক ঘটনায় ২৫ জনের লাশ উদ্ধার

2412121356338274Untitled-2

মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান,টেকনাফ:

টেকনাফ নাফনদীতে ৩ মাসে রোহিঙ্গা আদম বোঝাই নৌকা ডুবির পৃথক ঘটনায় ২৫ জন ব্যক্তি নিহত হয়েছে । তবুও টেকনাফ উপজেলার ১৫টি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অবৈধ ভাবে চলছে আদম পারাপার । মিয়ানমার ও বাংলাদেশের অসংখ্য সীমান্ত এলাকায় প্রায় ১৫টির বেশী দালাল চক্রের সিন্ডিকেট অবৈধ ভাবে মিয়ানমার নাগরিক আসা-যাওয়া নিয়ন্ত্রন করে যাচ্ছে । এভাবে যুগ যুগ ধরে দেশের প্রচলিত আইন অমন্য করে নাফনদী দিয়ে অবৈধ রোহিঙ্গা পারাপার করে আসলেও কিছুতে থামছেনা তা । বরং দিন দিন অবৈধ পথে আদম পাচার বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

১৫ আগস্ট রাতে টেকনাফ জাদিমুরা সীমান্ত এলাকার নাফ নদী দিয়ে অবৈধভাবে ২১ ব্যক্তি মিয়ানমারে যাওয়ার সময় নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩দিনে ৩ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় ১১ জন মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে কথিত দালাল জাদিমুরা এলাকার আবদুল মোনাফের পুত্র আমির হামজা মাঝি(৩২), ইসমাইল (৩৮), মোঃ ওমর ফারুক (২৮), বাঁচা মিয়ার পুত্র ছৈয়দ হোছন (৩০), আমির হোছেন (৪২), মৃত তাজর মুল্লুকের পুত্র নুরুল ইসলাম (৩৫), মৃত হামিদ হোছনের পুত্র আব্দু শুক্কুর (৪৫), আব্দু শুক্কুরের পুত্র আবদুল মজিদ (৩৮), মৃত ওলা মিয়ার পুত্র আবুল হোছন (৪২),আহমদ হোছনের পুত্র মোঃ হাছন (৪০), মৃত তয়ুম গোলালের পুত্র আলী হোছেন (৩৫), মামলা হয়। যার নং -৪৩/ ২০/০৮/১৩ ইং । খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, টেকনাফ জাদিমুরা ও মিয়ানমার রইংগাডং এবং পেরান প্রু ঘাট নিয়ন্ত্রণ করে মিয়ানামরের পেরান প্রু এলাকর কবির আহমদের পুত্র রহমত উল্লাহ ও কলিম উল্লাহ, আলমের পুত্র ছৈয়দ আলম বুল্লিগ্যা, দিল মোহাম্মদের পুত্র আয়াছ, আব্বাসের পুত্র আবদু রাজ্জাক, আলীর জোহারের পুত্র ইমাম হোছন, আহমদ হোছনের পুত্র মোস্তাফিজ, ছৈয়দুল আমিনের পুত্র ছদুরান ও আবদুল আমিনসহ বিশাল একটি সিন্ডিকেট এ ঘাট নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া গত ১৬ মে নাফনদীতে আরো একটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে । ওই ঘটনায় শিশু ও ৫ নারীসহ মোট ২১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এসময় লাশগুলোর কাছে মিয়ানমারের মুদ্রা পাওয়া যাওয়ায় সবাই মিয়ানমারের নাগরিক বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করে । পরে তাদেরকে টেকনাফ কবর স্থানে দাফন করা হয় । এদিকে ২২ আগস্ট নাফ নদীর জইল্ল্যাদিয়া নিকট থেকে আরো একটি মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন