নিপুণের অভিযোগ পাগলের প্রলাপ: জায়েদ খান

fec-image

‘নিপুণের কথা হলো পাগলের প্রলাপ। কেউ ভোট ছাড়া নির্বাচিত হলে যা খুশি বলতে পারে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

সবশেষ সোমবার (১৯ জুন) রাজধানীর ফিল্ম আর্কাইভের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে নিপুণ বলেন, ‘জায়েদকে ফ্রান্সের ভিসা দেয় নাই, এটা প্রশ্ন করেন না কেন? এটাও প্রশ্ন করেন আমি উত্তর দেব।’ এরপর এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ও (জায়েদ খান) যে বাংলাদেশকে ডুবিয়েছে। কান চলচ্চিত্র উৎসব, এত বড় আয়োজন, জিও থাকা এবং প্রধানমন্ত্রীর সাইন থাকার পরেও শুধু জায়েদ থাকার ফলে আমাদের এমডি ভিসা পায়নি।’

নিপুণের এই অভিযোগের বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন জায়েদ খান। গণমাধ্যমে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আমি কীভাবে বাংলাদেশ ডোবালাম? কান উৎসবে আমার নেগেটিভ কিছু থাকলে সরকার আমাকে জিও করে দিত না। আমার কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সিগনেচার হয়েছে। আমরা দুদিন বাকি থাকতে পেপারস জমা দিয়েছিলাম। তখন বলা হয়েছিল শর্ট টাইম। নিপুণ শুধু আমাকে নয়, ফ্রান্স অ্যামবাসিকেও ছোট করেছে। পেপারস জমা দিলাম পাঁচজন। তাদের মধ্যে এফডিসির এমডি আছেন, আরও দুজন ডিরেক্টর। তাদের হচ্ছে ডিপ্লোম্যাট পাসপোর্ট। তাদের দিত, আমাকে বাদ দিয়ে দিলেই তো হতো। এটা তো ইন্ডিভিজ্যুয়াল ভিসা। তাহলে অন্যদের ভিসা দিলো না কেন?’

নিপুণকে উদ্দেশ্য করে জায়েদ খান বলেন, ‘নিপুণের কথা হলো পাগলের প্রলাপ। কেউ ভোট ছাড়া নির্বাচিত হলে যা খুশি বলতে পারে। একটা মানুষ ভোটে না জিতে অন্যায়ভাবে বসলে যা হয় আরকি। এরা পাগলের প্রলাপ বকবে। এরা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে অনেকটা। তার মুখ থেকে তো অবৈধ জিনিসই বেরোবে। এটাই তো নিয়ম।’

গত বছর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বিষয়টি পরবর্তীতে উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করায় গত ২ এপ্রিল জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। জায়েদ ও নিপুণের মধ্যকার এই দ্বন্দ্ব থামাথামির যেন কোনো নামগন্ধই নেই। সুযোগ পেলে একজন আরেকজনের সমালোচনায় মেতে ওঠেন। বিদ্ধ করেন নানা বাক্যবাণে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন